চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সহিংসতা ও রাস্তা অবরোধসহ জনস্বার্থ বিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ড চালানোর অপরাধে চার নেতাকে বহিষ্কার করেছে বিএনপি।
সোমবার (৩ নভেম্বর) দিবাগত রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বহিষ্কারাদেশ দেওয়া হয়।
বহিষ্কৃত নেতারা হলেন- স্বেচ্ছাসেবক দলের চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড উপজেলা সভাপতি আলাউদ্দিন মনি, সাধারণ সম্পাদক হেলাল উদ্দিন বাবর, সীতাকুন্ড পৌরসভার আহ্বায়ক মামুন ও যুবদলের সোনাইছড়ীর সাধারণ সম্পাদক মমিন উদ্দিন মিন্টু।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার সন্ধ্যায় দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে তারা চট্টগ্রাম উত্তর জেলার সীতাকুন্ডে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট এলাকায় রাস্তা অবরোধ করে সহিংসতা চালানো হয়।
এসব কর্মকাণ্ডের জন্য দলের প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ থেকে এ চার নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তারা সবাই আসলাম চৌধুরীর অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
উল্লেখ্য, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যায় বিএনপি আসনভিত্তিক সম্ভাব্য প্রার্থীদের তালিকা ঘোষণা করে। এতে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে বাদ দিয়ে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করা হয় চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিনের নাম।
মনোনয়ন থেকে বাদ পড়ার খবর ছড়িয়ে পড়লে আসলাম চৌধুরীর কর্মী–সমর্থকেরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। সোমবার সন্ধ্যা সাতটার দিকে তারা সীতাকুণ্ড উপজেলার ভাটিয়ারী শহীদ মিনার এলাকায় ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করেন।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা টায়ার জ্বালিয়ে ‘দুর্দিনের আসলাম ভাই, আমরা তোমায় ভুলি নাই’, ‘আসলাম ভাইয়ের ভয় নাই, রাজপথ ছাড়ি নাই’—এমন স্লোগান দেন। পরে কদমরসুল, ভাটিয়ারী বাজার, জলিল গেট, ফৌজদারহাট, মাদামবিবিরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে মহাসড়ক অবরোধ করে মিছিল করেন তারা। প্রায় চার ঘণ্টা ধরে যান চলাচল বন্ধ থাকে, ফলে উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।
পরবর্তীতে বিক্ষোভকারীরা রেলপথেও অবরোধ দেন, যার ফলে সীতাকুণ্ড রেলস্টেশনে চট্টগ্রামগামী চট্টলা এক্সপ্রেসসহ দুটি ট্রেন আটকা পড়ে। রাত ১১টার দিকে বিক্ষোভকারীরা মহাসড়ক ও রেললাইন থেকে সরে গেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ







