আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটির বিশিষ্ট আলেম শায়খ সালেহ বিন ফাওযান আল-ফাওযান। নব্বই বছর বয়সী এই আলেম দীর্ঘদিন ধরে দেশটির অন্যতম প্রভাবশালী ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে পরিচিত।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সৌদি আরবের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা এসপিএর প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সৌদি আরবে ইসলাম ধর্মের দুই পবিত্র নগরী মক্কা ও মদিনা অবস্থিত। এ ফলে দেশটির গ্র্যান্ড মুফতি বিশ্বজুড়ে সুন্নি মুসলমানদের কাছেও অত্যন্ত মর্যাদাপূর্ণ ব্যক্তির হিসেবে বিবেচিত হন। সৌদির গ্র্যান্ড মুফতির ফতোয়া বা বক্তব্যগুলো পুরো বিশ্বের মুসলমানরা গুরুত্বের সঙ্গে শুনেন এবং অনুসরণ করেন।
বিশ্বের কোটি কোটি সুন্নি মুসলমানের কাছে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি একজন গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় নেতা। মক্কা-মদিনার রক্ষণাবেক্ষণ ও হজ পরিচালনাসহ ইসলামী বিভিন্ন বিষয়ে তার মতামতকে গুরুত্ব ও মর্যাদার সঙ্গে দেখা হয়।
শায়খ সালেহ বিন ফাওযান ‘নূর আলা আল-দারব’ নামে একটি জনপ্রিয় রেডিও অনুষ্ঠানের মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। তার অসংখ্য গ্রন্থ ও টেলিভিশন আলোচনা আরব বিশ্বে ব্যাপকভাবে সমাদৃত।
ইসলামি জ্ঞানে গভীর পারদর্শী শায়খ সালেহ বিন ফাওযান সৌদি আরব এবং মুসলিম বিশ্বে সমাদৃত হলেও পশ্চিমা গণমাধ্যমে তার কিছু মন্তব্যকে ঘিরে অতীতে সমালোচনা হয়েছে।
২০১৭ সালে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এক প্রতিবেদনের দাবি অনুযায়ী, এক প্রশ্নোত্তর পর্বে নাকি তিনি বলেছিলেন, শিয়া মুসলমানরা ‘শয়তানের ভাই’। তবে ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের রাজনৈতিক টানাপোড়েনের প্রেক্ষাপটে ধর্মীয় নেতাদের এমন বক্তব্য নতুন নয়।
তাছাড়া তিনি ইয়েমেনের ‘হুথি বিদ্রোহীদের’ কঠোরভাবে সমালোচনা করেন। হুথি বিদ্রোহীরা একাধিকবার সৌদি আরবে অবস্থিত মুসলিম বিশ্বের পবিত্র নগরীগুলোর দিকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল।
ঐতিহাসিকভাবে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতির পদটি আল-শেখ পরিবারেই প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে এসেছে। এই পরিবারই ১৮শ শতাব্দীতে ইসলামি সংস্কার আন্দোলনের পুরোধা শায়খ মুহাম্মদ ইবনে আবদুল ওয়াহহাবের বংশধর। তার শিক্ষা থেকেই পরবর্তীকালে গড়ে ওঠে ‘ওয়াবি মতবাদ’ নামে পরিচিত ধারা, যা সৌদি রাষ্ট্রনীতির ভিত্তি হয়ে আছে দীর্ঘদিন ধরে। সূত্র : আল জাজিরা, এপি
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন