চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামে শিক্ষা বোর্ডের এক কর্মকর্তাকে আওয়ামী লীগের দোসর আখ্যা দিয়ে হেনস্তা করে আটকে রাখেন সমন্বয়ক পরিচয় দেওয়া কয়েকজন তরুণ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষা বোর্ডের ওই কর্মকর্তাকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) সন্ধ্যায় নগরীর ষোলশহর এলাকায় এ ঘটে। ওই কর্মকর্তার নাম ওসমান গণি। তিনি চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের সহকারী সচিব পদে রয়েছেন।
পুলিশ ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওসমান গণি মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য। এছাড়া তার নামে বোর্ডে আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। গতকাল সন্ধ্যার দিকে ষোলশহর রেলস্টেশন এলাকায় ‘সমন্বয়ক’ পরিচয় দেওয়া কয়েকজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ওসমানের কথা-কাটাকাটি হয়। সেখানে ওসমানকে আটকে রাখেন ওই শিক্ষার্থীরা। পরে পুলিশ উপস্থিত হয়ে ওসমানকে থানায় নিয়ে যায়।
পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, সমন্বয়ক পরিচয়ে কয়েকজন ওসমান গণির সঙ্গে ষোলশহর এলাকায় বাগবিতণ্ডায় জড়িয়েছিলেন। খবর পেয়ে আমরা গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে এসেছি। এখনও ছাত্ররাই তাকে ছাড়িয়ে নিতে তদবির করছেন। আজ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ও বর্তমানে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সমন্বয়কারী (চট্টগ্রাম নগর) আরিফ মঈনুদ্দিন বলেন, মৎস্যজীবী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ছিলেন তিনি। রেলস্টেশনে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডায় জড়ান। পরে পুলিশ তাকে নিয়ে গেছে।
বোর্ড সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালে ওসমান গণিকে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে অফিস সহকারী নিয়োগ দেয় বোর্ড। ভুয়া অভিজ্ঞতা সনদ দেওয়া, চেক জালিয়াতি ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অভিযোগে তিনবার শাস্তি ভোগ করেছেন তিনি। তবে গত এপ্রিলে তার সব শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার করেছে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ড কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে শাস্তির কারণে কেটে নেওয়া বেতন-ভাতার ১৫ লাখ টাকাও তাকে ফেরত দেওয়া হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন