এনসিপিকে কেনো শাপলা প্রতীক দেওয়া হয়নি, জানালেন সিইসি

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) তাদের দলের প্রতীক হিসেবে ‘শাপলা’ চাইলেও নির্বাচন কমিশনের নির্ধারিত প্রতীক তালিকায় তা না থাকায় প্রতীকটি দেওয়া সম্ভব হয়নি বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।

আজ রোববার দুপুরে চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

এনসিপির শাপলা প্রতীক নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সিইসি বলেন, ‘একটা প্রতীকের বিষয় আসছে। আমাদের ইলেকশন কমিশনের সচিব মহোদয় অলরেডি এক্সপ্লেইন করেছেন যে, কোনো দল নিবন্ধন যখন পায়, আমাদের প্রতীকের নির্ধারিত তালিকা আছে, ওখান থেকে তাদের প্রতীক নিতে হয়। এনসিপির প্রতীকের (শাপলা) কথা বলেছেন, এটা যেহেতু আমাদের নির্ধারিত তালিকায় নেই, এজন্য এটা আমরা দিতে পারিনি। যেহেতু আমাদের তালিকাভুক্ত নয়, এজন্য আমরা দিতে পারিনি। বিধান হল, আমাদের তালিকাভুক্ত যেসব প্রতীক আছে, ওখান থেকেই নিতে হবে। এখন পর্যন্ত তালিকার বাইরে আমরা কাউকে দিইনি।’

নির্বাচন কমিশন যে কোনোসময় তাদের তালিকায় প্রতীকের সংখ্যা বাড়াতে-কমাতে পারে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের তালিকায় তো ১১৫টা প্রতীক ছিল না, এটা তো আমরা পরে করেছি। কারণ এখন লোকাল গভর্নমেন্ট ইলেকশন আর ন্যাশনাল গভর্নমেন্ট ইলেকশন এক করে ফেলেছি। এ জন্য আমাদের প্রতীকের সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে।’

তাহলে শাপলা নিয়ে শেষ সিদ্ধান্ত কী, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘এটা আমি এখন বলতে চাই না, আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে রাজনীতিবিদরা জানেন। বিশেষ করে এনসিপি নেতারা আমাদের সীমাবদ্ধতা সম্পর্কে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল। আমি কোনো শঙ্কিত নই, ইলেকশনে পার্টিসিপেশনের বিষয়ে আমি পুরোপুরি কনফিডেন্ট। আপনারা ওয়েট করেন, আপনারা দেখবেন। শাপলা প্রতীক নিয়ে এখনই কোনো জবাব আমি দিতে চাই না। এটা নিয়ে কমিশনে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।’

প্রতীক নিয়ে এনসিপির অনড় অবস্থানের বিষয়ে জানতে চাইলে সিইসি বলেন, ‘দেখেন, এনসিপির বিষয়টা, একটা বিষয় খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের ফিলিংস যেটা, আরও কয়েকবার বলেছি এটা, যারা এনসিপিতে নেতৃত্বে আছেন এখন, আমরা বাহ্যত যাদের দেখি আর কী, আমাদের সাথে যারা মিটিং করতে আসেন, তারা কিন্তু ২০২৪ এর আন্দোলনে এক্টিভলি ইনভলব ছিলেন, এমন লোকজনই কিন্তু এ দলটার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা গণতন্ত্রায়নের পথে বাধা সৃষ্টি করবেন, এটা আমি মনে করি না। আমি তাদের কোনো অংশেই কম দেশপ্রেমিক ভাবতে চাই না। না হলে তারা এরকম জান দেওয়ার জন্য রাস্তায় নামতেন না।’

‘যারা এনসিপিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা অনেক জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই অভ্যুত্থানে যোগদান করেছিল, এক্টিভলি ইনভলব হয়েছিল। সুতরাং তারাও দেশের মঙ্গল চান, তারাও দেশের ভালো চান, তারাও দেশের গণতন্ত্র চান, আমার বিশ্বাস গণতন্ত্রের উত্তরণটা যাতে সুন্দর হয়, সুষ্ঠু হয়, এরকম একটা পরিবেশের জন্য উনারা সম্মতি দেবেন।’

রাজনীতিবিদদের কাছে ‘লাস্ট ওয়ার্নিং’ বলে কিছু নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশে এরকম রাজনৈতিক সংকট বিভিন্নসময় হয়। রাজনীতিবিদদের একটা সুবিধা আছে, দেয়ার ইজ নো লাস্ট ওয়ার্নিং বলে পলিটিক্সে তারা পজিশন চেঞ্জ করতে পারেন, এটা আমরা পারি না। আমাদের তো আইনকানুন মেনে অনেক কিছু করতে হয়, অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। সুতরাং এটা উনারা বলতেই পারেন, কিন্তু আমরা উনাদের দেশপ্রেমিক হিসেবেই জানি, দেশের মঙ্গল কামনাকারী হিসেবে জানি। দেখবেন তারা একটা অবস্থানে আসবেন।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, চট্টগ্রামের বিভাগীয় কমিশনার ড. মোহাম্মদ জিয়াউদ্দীন, নগর পুলিশ কমিশনার হাসিব আজিজ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি আহসান হাবীব পলাশ, চট্টগ্রামের সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বশির আহমদ।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top