চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল ও আলিনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের দু’পক্ষের সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
রবিবার (৫ অক্টোবর) চমেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো-জাহিদ (৩৫), জয়নাল (৩২) ও জিহাদ (৪০)।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জঙ্গল সলিমপুরের ছিন্নমূল বস্তি ও আলীনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে ক্ষমতার লড়াই চলে আসছিল। এতে প্রায়ই খুন, ধর্ষণ ও হানাহানির ঘটনা ঘটে। গতবছরও এখানে এক যুবককে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করে সন্ত্রাসীরা। এছাড়া জায়গা দখল, মাদক ব্যবসার নিয়ন্ত্রণসহ নানা ইস্যুতে এখানে সন্ত্রাসীদের মধ্যে অশুভ প্রতিযোগিতা লেগেই আছে। এসব কারণে গত মাসেও এখানে সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথবাহিনী অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও দেশীয় অস্ত্রসহ ৪ সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করে। কিন্তু থামেনি সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্য।
গত শুক্রবার রাতেও আলীনগর ও জঙ্গল সলিমপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের তুমুল সংঘর্ষ ও গোলাগুলি হয়। এতে একজন নিহত ও আরো অন্তত ১৩ জন গুলিবিদ্ধ হয়। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চমেকে হাসপাতালে পাঠান।
এছাড়া আটককৃতদের কাছ থেকে একটি দেশে তৈরি এলজি, ৮টি শর্টগানের গুলি, দুইট পিস্তল ম্যাগাজিন, একটি চাপাতি, একটি লোহার হাতুড়ি ও পিস্তলের তিনটি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান ফৌজদারহাট পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সেপক্টর সোহেল রানা।
সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মজিবুর রহমান বলেন, জঙ্গল সলিমপুরে আধিপত্য বিস্তারে একাধিক গ্রুপ সক্রিয় রয়েছে। শুক্রবারের ঘটনা নিয়ে ইয়াছিন গ্রুপ রোকন উদ্দিন মেম্বার গ্রুপকে দায়ী করে এবং আবার আরকেটি পক্ষ দাবি করে ইয়াছিন গ্রুপের সন্ত্রাসীরা রোকন গ্রুপের একজনকে নাকি পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।
তিনি বলেন, ঘটনার দুই দিনেও আমরা নিহত ব্যক্তির পরিচয় পাইনি। কারণ সেখানে অধিকাংশ মানুষ ভ্রাম্যমাণ। সন্ত্রাসীরাও বহিরাগত। এখন সিআইডিকে বলা হয়েছে ফিঙ্গার প্রিন্ট সংগ্রহ করে তার পরিচয় শনাক্ত করতে। সে চেষ্টা চলছে। তার পরিচয় পাওয়া গেলে আরো বিস্তারিত জানা যাবে। কিন্তু এসব ঘটনায় ইয়াছিন বা রোকন কেউ জড়িত আছে কিনা তা এখনো আমরা নিশ্চিত হইনি। নিহত ব্যক্তির কোন স্বজনের হদিস পাওয়া গেলে তারা যাকে আসামি করে মামলা করতে চান তাকে আসামি করেই হত্যা মামলা হবে। কেউ বাদী না হলে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা হবে। এ ঘটনায় এবং অস্ত্র উদ্ধারে আমরা ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছি। তবে তারা ৩ জনই আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছে। সেখানেই গ্রেপ্তার আছে তারা।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন