ক্রীড়া ডেস্ক: দুবাইয়ে ক্রিকেট ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় লেখা হতে চলেছে। এশিয়া কাপের ৪১ বছরের ইতিহাসে এই প্রথমবার ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে ক্রিকেটের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী – ভারত ও পাকিস্তান।
রোববার (২৮ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টায় দুবাই ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই বহু প্রতীক্ষিত লড়াই।
এই ১৭তম এশিয়া কাপ আসর কেবল ক্রিকেটের উত্তেজনাতেই সীমাবদ্ধ থাকেনি, দুই দলের রাজনৈতিক টানাপোড়েন এবং মাঠের বিতর্কিত ঘটনাও সমানভাবে আলোচনায় এসেছে।
পেহেলগামের সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয় অধিনায়কের প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে হাত না মেলানো, এমনকি খেলা শেষে ড্রেসিংরুমের দরজা বন্ধ করার মতো বিষয়গুলি ছিল বিতর্কের কেন্দ্রে।
অন্যদিকে, পাকিস্তানের হারিস রউফের ‘প্লেন ক্র্যাশ’ এবং শাহিবজাদা ফারহানের ‘একে ফোরটি সেভেন’ উদযাপনের মতো অঙ্গভঙ্গি খেলার মাঠে উত্তাপ আরও বাড়িয়েছে।
পরিসংখ্যানের পাল্লা ভারতের দিকে
মাঠের পারফরম্যান্সে অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের পাল্লা বেশ ভারি। সবশেষ চারটি টি-টোয়েন্টিতেই তারা পাকিস্তানকে পরাজিত করেছে। তবে ফাইনাল মঞ্চ সবসময়ই এক নতুন গল্প লেখার সুযোগ দেয়।
এই আসরের শুরু থেকেই ভারত ছিল সবচেয়ে সফল ও ধারাবাহিক দল। টানা ৬টি ম্যাচ জিতে তারা ফাইনাল নিশ্চিত করেছে। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং—ক্রিকেটের এই তিন বিভাগেই তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছে।
তরুণ ওপেনার অভিষেক শর্মার ২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে করা ৩০৯ রান এবং স্পিন জাদুকর কুলদ্বীপ যাদবের ৬ ইকোনমিতে ১৩ উইকেট যেকোনো প্রতিপক্ষের জন্য বড় চিন্তার কারণ।
অন্যদিকে, পাকিস্তান দলটি তাদের চিরায়ত ‘অনিশ্চয়তায় ভরা’ তকমা নিয়েই ফাইনালে এসেছে। যেকোনো মুহূর্তে হতাশ করার পরদিনই তারা জন্ম দিতে পারে নতুন কোনো বিস্ময়ের।
বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রায় নিশ্চিত হার থেকে অবিশ্বাস্যভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে জয় ছিনিয়ে আনাটাই এই দলের মানসিকতার প্রতীক।
এদিকে, এশিয়া কাপের চার দশকের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে এই দুই চিরশত্রুর লড়াই যেন মরুভূমির স্বাভাবিক তাপমাত্রাকেও ছাড়িয়ে যাবে। মাঠের বাইরে যত বিতর্কই থাকুক না কেন, কোটি কোটি ক্রিকেটপ্রেমীর চোখ এখন দুবাইয়ের দিকে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন