ক্রীড়া ডেস্ক: সুপার ফোরের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে বল করতে নেমে দারুণ পারফরম্যান্স উপহার দিয়েছেন বাংলাদেশের শেখ মেহেদী হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমান। দুজনে মিলে ৮ ওভারে মাত্র ৪৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ৫ উইকেট। কিন্তু এই দুজনের ছন্দে থাকার দিনে তাসকিন-শরীফুলদের পিটিয়েছেন লঙ্কানরা।
দুবাইয়ে আগে ব্যাট করতে নেমে দাসুন শানাকার ৩৭ বলে ৩ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ৬৪ রানের ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ১৬৮ রান করেছে শ্রীলঙ্কা।
টস জিতে বল করতে নেমে আজ আগের ম্যাচের মতো সুবিধা নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। ইনিংসের শুরু থেকেই লঙ্কান দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা ও কুশল মেন্ডিস আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন। পাওয়ার প্লের প্রথম ৪ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৬ রান তোলে শ্রীলঙ্কা।
ঝোড়ো ব্যাটিং করা দুই ওপেনারের জুটি পঞ্চম ওভারে এসে ভাঙেন পেসার তাসকিন আহমেদ। ১৫ বলে ২২ রান করে মিড উইকেটে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন পাথুম নিসাঙ্কা।
পাওয়ার প্লেতে ১ উইকেট হারালেও ৫৩ রান তোলে লঙ্কানরা। প্রথম ৬ ওভারে দাপট দেখাতে না পারলেও মাঝ ওভারে ঠিকই ম্যাচে ফেরেন বাংলাদেশের বোলাররা। বিশেষ করে আজ একাদশে সুযোগ পাওয়া স্পিনার শেখ মেহেদী।
পাওয়ার প্লেতে আগ্রাসী ব্যাটিং করা কুশল মেন্ডিসকে ইনিংসের অষ্টম ওভারে ফেরান মেহেদী। এই অফ স্পিনারের বলে সুইপ খেলতে গিয়ে স্কয়ার লেগে ক্যাচ দিয়ে বসেন ২২ বলে ৩৪ রান করা কুশল মেন্ডিস। ৫৮ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানো শ্রীলঙ্কা দশম ওভারে ফের চাপে পড়ে যায়। মেন্ডিসকে ফেরানোর পর এবার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান কামিল মিশারাকেও প্যাভিলিয়নের পথ দেখান মেহেদী।
১১ বলে ৫ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন এই লঙ্কান। ৬৫ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া লঙ্কানদের হাল ধরেন দাসুন শানাকা।
চতুর্থ উইকেটে কুশল পেরেরাকে সঙ্গে নিয়ে আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন শানাকা। কিন্তু এক শ রান পার হওয়ার আগে ১৪তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমানের বলে ১৬ বলে ১৬ রান করে ফেরেন পেরেরা।
৯৭ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর বাংলাদেশের সমর্থকদের অনেকেই হয়তো আশা করেছিলেন অল্পতেই লঙ্কানদের বেধে ফেলবে বোলাররা। কিন্তু শানাকার ব্যাট হতাশ করেছে বাংলাদেশকে।
১৫তম ওভার থেকে যেন অন্য রকম এক লঙ্কানদের দেখা গিয়েছে দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে। নাসুমকে আহমেদকে ১০১ মিটারের বিশাল এক ছয় মেরে আগ্রাসী ব্যাটিংয়ের সূচনা করেন শানাকা।
পঞ্চম উইকেট জুটিতে শানাকার সঙ্গী অধিনায়ক চারিথ আসালাঙ্কাও চড়াও হন বাংলাদেশের ওপর। ১৪ ওভারে ৯৮ রান থেকে ১৮ ওভারে ১৫৩ রান তুলে শ্রীলঙ্কা। ৩০ বলে ২ চার ৫ ছক্কায় ফিফটির দেখা পেয়ে যান শানাকা।
কিন্তু ১৯তম ওভারে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান পেসার মোস্তাফিজ। এক রান আউট ও দুই উইকেট নিয়ে মাত্র ৫ রান দেন এই বাঁহাতি। রানআউটুটিও ক্যাচ মিসের পর না হলে তিনটি উইকেটই পেতেন তিনি। প্যাভিলিয়নে ফেরেন আসালাঙ্কা, কামিন্দু মেন্ডিস ও ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গাক। শেষ ওভারে তাসকিন আহমেদের বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১০ রানের বেশি নিতে পারেননি শানাকা। ফলে ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেটে ১৬৮ রানের সংগ্রহ পায় শ্রীলঙ্কা।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন মোস্তাফিজ, শেখ মেহেদী ২৫ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ