ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সারাদেশে ডেঙ্গু ভয়াবহ আকার ধারণ করায় রোগীর চিকিৎসা সেবায় ১২ দফা জরুরি নির্দেশনা দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দেশের সব মেডিকেল কলেজ ও বিশেষায়িত হাসপাতালের পরিচালক, জেলা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক, সিভিল সার্জন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তাদের কাছে এই নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর পরিচালক ডা. আবু হোসেন মো. মঈনুল আহসানের নির্দেশনার ওই চিঠিতে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য জরুরি চিকিৎসা ব্যবস্থাপনার ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।

নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে-

১. ডেঙ্গু রোগীদের জরুরি ভিত্তিতে এনএস ওয়ান পরীক্ষা করতে হবে এবং কিটের জন্য সিএমএসডি অথবা সিডিসির সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে।

২. ভর্তি রোগীদের জন্য হাসপাতালে সার্বক্ষণিক প্রয়োজনীয় সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার ব্যবস্থা রাখতে হবে।

৩. ডেঙ্গু চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ওষুধ ও অন্যান্য উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে।

৪. ডেঙ্গু রোগীদের হাসপাতালের নির্দিষ্ট ওয়ার্ড বা কক্ষে ভর্তি রাখতে হবে।

৫. ভর্তি হওয়া ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া রোগীদের চিকিৎসার জন্য মেডিসিন, শিশু ও অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের নিয়ে একটি বোর্ড গঠন করতে হবে। এই বোর্ডের তত্ত্বাবধানে একটি বিশেষ মেডিকেল দল শুধু ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা দেবে।

৬. বহির্বিভাগে আসা রোগীদের মধ্যে ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়া আক্রান্ত বলে সন্দেহ হলে তাদের একটি নির্দিষ্ট কক্ষে বিশেষজ্ঞ বোর্ড ও চিকিৎসকরা চিকিৎসা দেবেন।

৭. আইসিইউর প্রয়োজন হলে সংশ্লিষ্ট হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীদের অগ্রাধিকার দিতে হবে।

৮. রোগীর তথ্য সংগ্রহ ও প্রেরণের জন্য একজন নার্সকে দায়িত্ব দিতে হবে।

৯. কোনো ডেঙ্গু রোগী মারা গেলে সংক্ষিপ্ত তথ্য ৬ ঘণ্টার মধ্যে এবং বিস্তারিত প্রতিবেদন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানাতে হবে।

১০. হাসপাতাল এলাকার পরিচ্ছন্নতা এবং মশক নিধন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সিটি করপোরেশন বা পৌরসভার মেয়রকে চিঠি দেবেন হাসপাতাল তত্ত্বাবধায়ক।

১১. প্রতি শনিবার সকালে হাসপাতালের পরিচালক, তত্ত্বাবধায়ক বা সিভিল সার্জনের সভাপতিত্বে ডেঙ্গু সমন্বয় সভা করতে হবে।

১২. অন্যান্য জেলা হাসপাতাল প্রয়োজনে এসব নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে পারবে।

স্বাস্থ্য অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, চলতি বছর ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত ১৫৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং আক্রান্ত হয়েছে ৩৮ হাজার ৫২৭ জন।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top