খানাখন্দে নাজুক বাঁশখালী শীলকূপ ইউনিয়নের প্রধান সড়ক

জসিম উদ্দিন: চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার শীলকূপ ইউনিয়নের একমাত্র প্রধান সড়কের এখন বেহাল দশা। যত্রতত্র খানাখন্দ, আর বৃষ্টির পানিতে টইটম্বুর সড়কটি যেন দেখার কেউ নেই! ফলে চরম দুর্ভোগ নিয়ে প্রতিদিন সড়কে যাতায়াত করেন ইউনিয়নটির কয়েক হাজার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ।

জানা গেছে, সড়কটি নিয়ে একের পর এক টেন্ডার আর বরাদ্দের পর বরাদ্দ কেবল কাগজে কলমেই সীমাবদ্ধ। বাস্তবে কিছুই হচ্ছে না টাইম বাজার থেকে গন্ডামারা ইউনিয়ন পর্যন্ত বিস্তৃত এই সড়কটির। এটি সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা গন্ডামারা ও বড়ঘোনা এবং দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টে যাওয়ার একমাত্র চলাচলের মাধ্যম। প্রতিদিন ছোট বড় শত শত যানবাহন ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কটি দিয়ে চলাচল করে। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসার ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে কর্মজীবী মানুষরা প্রতিদিন ভয়ে ভয়ে সড়কটি দিয়ে চলাচল করেন। মাঝে মধ্যে দুর্ঘটনার শিকারও হন কেউ কেউ।

ভুক্তভোগীদের দাবি- এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের বড় বড় ভারী ট্রাকগুলো প্রতিনিয়ত চলতে চলতে বড় বড় গর্ত থেকে ফসলী মাঠে পরিনত হয়েছে এই সড়ক।

স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তার জন্য ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার কাজ চলমান বলে শুনেছি। কিন্তু কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ বাস্তবে দৃশ্যমান কোন কাজ হচ্ছে না। প্রায় ৪-৫ কিলোমিটার এই সড়ক দিয়ে যে গাড়ি ব্যবহার করে যাতায়াত হোক না কেন একবার গেলে আর ফিরে আসতে মন চাইবে না।

তবে স্থানীয় ভারপ্রাপ্ত ইউপি চেয়ারম্যান রাশেদ নুরীর দাবি- বর্তমানে বৃষ্টির জন্য কাজ শুরু করা যাচ্ছে না। তবে বৃষ্টি কমলে খুব শিগগিরই কাজে হাত দেওয়া হবে। তিনিও রাস্তার এই দশার পেছনে এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের ভারি যানবাহন চলাচলকে দায়ি করেছেন।

বাঁশখালী উপজেলার নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী ফাহাদ বিন মাহমুদ মুঠোফোনে বলেন, শীলকূপ ইউনিয়নের সড়কের জন্য ২ কোটি ২৭ লক্ষ টাকার টেন্ডার করা হয়েছে। বৃষ্টি বাদলের দিন শেষ হলেই আশা করছি ঠিকাদার কাজ শুরু করবেন।

বাঁশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জামশেদুল আলম বলেন, বাঁশখালীর শীলকূপ ইউনিয়নের প্রধান সড়কটি দেশের সর্ববৃহৎ কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প এস এস পাওয়ার প্ল্যান্টের মূল সড়ক। আমি দ্রুত গতিতে এই কাজ শুরু করার জন্য সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারদের অনুরোধ করবো।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন/জেএইচ

Scroll to Top