না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘লালনকন্যা’ ফরিদা পারভীন

বিনোদন ডেস্ক: চলে গেলেন লালনকন্যা খ্যাত লোকসংগীতের বরেণ্যশিল্পী ফরিদা পারভীন। আজ শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) রাত সোয়া ১০টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

আজ শনিবার রাত ১১টায় ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বস্থাপনা পরিচালক আশীষ কুমার চক্রবর্তী তাঁর মৃত্যু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এছাড়া স্বামী বংশীবাদক আব্দুল হাকিমও বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। বিবাহীত জীবনে তার স্বামী এবং ৪ সন্তান রয়েছেন।

এর আগে গত বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত থেকে তিনি লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তারও আগে তিনি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন ছিলেন।

আগস্টে ডায়ালাইসিস করতে গিয়ে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলেও বেশ কয়েকদিন আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পী। সেসময় তাঁর উন্নত চিকিৎসার জন্য রাষ্ট্রীয় সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছিল পরিবার। কিন্তু পরে পারিবারিক দ্বিধা-দ্বন্দ্বের কারণেই সেই সহায়তা আর নেওয়া হয়নি।

২০১৯ সাল থেকে কিডনি ও শ্বাসকষ্টজনিত অসুখে ভুগছিলেন ফরিদা পারভীন। চলতি মাসের ৩ সেপ্টেম্বর ডায়ালাইসিস করাতে তাঁকে হাসপাতালে নেওয়া হলে শারীরিক অবস্থার গুরুতর অবনতি হয়। জরুরিভিত্তিতে তাঁকে তখন আইসিইউতে নেওয়া হয়। এর আগে গত মাসেও আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৯৬৮ সালে রাজশাহী বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হিসেবে নজরুলসংগীত গেয়ে সংগীতাঙ্গনে পথচলা শুরু করেন ফরিদা পারভীন। ১৯৭৩ সালে দেশাত্মবোধক গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পান তিনি। পরে সাধক মোকসেদ আলী শাহর কাছে লালনগীতির তালিম নেন এবং ধীরে ধীরে হয়ে ওঠেন লালনগীতির জীবন্ত কিংবদন্তি।

২০০৮ সালে তিনি জাপান সরকারের পক্ষ থেকে ‘ফুকুওয়াকা এশিয়ান কালচার’ পুরস্কারও পেয়েছেন। ১৯৯৩ সালে সিনেমার গানের জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন এই শিল্পী। সংগীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৮৭ সালে তিনি লাভ করেন একুশে পদক।নতুন প্রজন্মকে লালনের গান শেখাতে গড়ে তোলেন ‘অচিন পাখি স্কুল’।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top