রাউজান প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম রাউজান পৌর এলাকায় ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা নিয়ে বিএনপির দুই গ্রুপের হামলা ও পাল্টা হামলার অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে রাউজান পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম গহিরা মিয়ার ঘাটা এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে।
এ হামলায় (বিএনপি নেতা কাজী আনিসুজ্জামান সোহেল গ্রুপ) ওয়ার্ড সেচ্ছেসেবক দলের সভাপতি মো. রাশেদ (৩৫) ও অপর গ্রুপের (সাবেক কমিশনার আশেক রসুল রোকন গ্রুপ) আজগর আলী (৪৫) গুরুতর আহত হয়েছে। আহত আজগর চৌধুরীকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও মো. রাশেদকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি ভর্তি করা হয়েছে। দুই গ্রুপেই বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা গিয়াস উদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারী।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর স্থানীয় পর্যায়ে ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা নিয়ে রাউজান পৌরসভার ০১ নম্বর ওয়ার্ডের স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতির সঙ্গে বিএনপি কর্মী আজগর আলীর মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। দীর্ঘদিন ধরে এ ক্যাবল নেটওয়ার্ক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ করছেন আহত আজগর চৌধুরী। এ ব্যবসা নিয়ন্ত্রণ নিতে চাই রাশেদসহ একটি গ্রুপ। এ নিয়ে গত ১০ মাসে কয়েক দফা সংঘর্ষে ঘটনা ঘটে দু’পক্ষের মধ্যে। উভয় পক্ষ তখন থানায় ও আদালতে অভিযোগও দায়ের করেন।
এক গ্রুপের নিয়ন্ত্রক পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আনিসুজ্জামান সোহেল বলেন, আমাদের ওয়ার্ড জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতিকে অতর্কিত হামলা করা হয়েছে। যিনি হামলা করেছেন তিনি বিএনপিতে অনুপ্রবেশকারী। আগে আওয়ামী লীগের সভা সমাবেশে দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ও নেতাদের সাথে তার ছবি রয়েছে। হামলাকারী আজগর সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সাবেক কমিশনার আশেক রসুল রোকনের অনুসারী বলেও দাবি করেন তিনি।
এ ব্যাপারে অপর গ্রুপের পৌরসভার সাবেক কমিশনার আশেক রসুল রোকন বলেন, আমার কোন গ্রুপ নেই। আমি সাবেক একজন জনপ্রতিনিধি হিসাবে সামাজিক কর্মকাণ্ড করে থাকি। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত আজগর আমার প্রতিবেশী। বিএনপির নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী কায়দায় আজগরের ক্যাবল নেটওয়ার্কের ব্যবসা জোরপূর্বক নিয়ে নিতে এ হামলা করা হয়েছে। বিগত দিনে এ ব্যবসা নিয়ে আরো হামলা মামলা হয়েছে, যা পুলিশ প্রশাসন অবগত আছেন। হামলার ঘটনা তদন্তপূর্বক দোষীদের গ্রেফতারে পুলিশ কাজ করবে এটাই প্রত্যাশা করি।
এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার ওসি মনিরুল ইসলাম ভূইয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। তারা থানায় ফিরলে বিস্তারিত জানানো হবে। তবে এখন পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ করেনি।
চাটগাঁ নিউজ/জয়নাল/এমকেএন