চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বিএনপির সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেছেন, যে বিএনপির জন্য ১৫ বছর লড়াই করলাম, তারাই এখন আমাকে ধাক্কা দেয় ঠিক আছে, ধাক্কার বদলে তো ধাক্কা আসবেই।
রোববার (২৪ আগস্ট) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনের অডিটরিয়ামে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রস্তাবিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ ও ৩ আসনের সীমানা নির্ধারণ নিয়ে দাবি-আপত্তি আবেদনের শুনানিতে এ ঘটনা ঘটে। পরে এক প্রশ্নের জবাবে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এনসিপির কর্মীদের সঙ্গে হাতাহাতি প্রসঙ্গে রুমিন ফারহানা বলেন, উনি যেহেতু পরিচিত মুখ নয়, সুতরাং উনি জামায়াত না এনসিপি আমার জানা নেই। তবে উনার লোকজন প্রথম আমাকে ধাক্কা দিয়েছে। আমার লোকজন তো বসে থাকবে না, কারণ আমি একজন নারী। আমার লোকজনকে মারধর করেছে, তখন আমার লোকজন জবাব দিয়েছে।
তিনি বলেন, আমরা সবসময় বলেছি ২০০৮ সালের আগের সীমানায় আমরা ফিরতে চাই। আমিও মনে করি ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল সেখানেই আমাদেরকে এখন ফিরে যাওয়া উচিত। মাঝখানে ১৫ বছর একটা ফ্যাসিস্ট সরকার ছিল যারা তাদের নিজস্ব ভোট কারচুপির জন্য নিজস্ব সুবিধা অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করেছে। সেই সীমানা আমরা মানি না। সেজন্য আমরা বলেছি ২০০৮ এর আগে যে সীমানা ছিল, খালেদা জিয়ার ইচ্ছা ছিল সেখানে যাওয়া হোক।
বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, অত্যন্ত দুঃখজনক ব্যাপার হলো এখানে একটি মারামারি হয়েছে। আমি যেহেতু একজন আইনজীবী, আমি মনে করেছি আমার কেস আমি নিজেই প্রেজেন্ট করব।
আমি আশা করেছিলাম নির্বাচন কমিশনের সম্মানের দিকে তাকিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ এ যারা আছেন তারা গুন্ডাপান্ডা নিয়ে ঢুকবে না নির্বাচন কমিশনে। কিন্তু দুঃখজনক হলো আমি দেখলাম ব্রাহ্মণবাড়িয়া- ৩ এ যিনি প্রার্থী, তিনি তার দলবল মানে ২০ থেকে ২৫ জন মিলে গুণ্ডাপাণ্ডার মতন তারা সেখানে আচার আচরণ করলেন। অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এটি, অত্যন্ত লজ্জাজনক এবং আমি মনে করি এটা কমিশনের যে ভাবমূর্তি যে গাম্ভীর্য এবং যে সম্মান সেইটার সঙ্গে এটা যায় না।
আমি আপনাদেরকে কিছু ছবি দেখাচ্ছি তারা এলাকায় বিভিন্ন মানুষকে কিভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে তারা স্বীকার উক্তি আদায় করেছেন। এটাই তাদের চরিত্র।
এখনও নির্বাচনে আসে নাই, একটা সীমানা নির্ধারণ নিয়ে এলাকায় এইভাবে তারা পিটিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ৩ এর যিনি আছেন, তিনি এইভাবে পিটিয়ে পিটিয়ে মানুষকে দিয়ে স্বীকারোক্তি নিয়েছেন।
এ নিয়ে এনিওয়ে নির্বাচন কমিশনে আমরা প্রেজেন্ট করেছি। ভৌগোলিক দিক বিবেচনায়, জনসংখ্যা বিবেচনায় এবং সকল কিছুর বিবেচনায় আমি আশা করব নির্বাচন কমিশন যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি সঠিক সিদ্ধান্ত এবং সেই সিদ্ধান্তই নির্বাচন কমিশন বহাল রাখবে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন