চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: সম্প্রতি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক বিভাগের দুর্নীতি ও অনিয়ম নিয়ে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪ সংবাদ প্রচার করে। ওই সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ সাংবাদিকদের উদ্দেশে ‘হুমকিস্বরূপ বার্তা’ দেন।
প্রতিবাদের কয়েক ঘণ্টার মধ্যে ডবলমুরিং থানায় পেশাগত দায়িত্ব পালনরত এক সাংবাদিককে ২০ মিনিট হাজতে আটকা রাখা হয় এবং আরও এক সাংবাদিককে হেনস্তার শিকার হতে হয়। এ ঘটনায় সাংবাদিক মহলে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে এবং পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।
পুলিশ কমিশনারের হুমকিস্বরূপ প্রতিবাদ এবং সাংবাদিক হেনস্তায় ক্ষোভ প্রকাশ ও প্রতিবাদ জানিয়েছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন (সিইউজে), চট্টগ্রাম টেলিভিশন রিপোর্টার্স নেটওয়ার্ক (সিটিআরএন) এবং চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিএমআরইউ)।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রকাশিত বিবৃতিতে চট্রগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি জানিয়েছে, ‘চট্টগ্রামের ডবলমুরিং থানার সামনে বকেয়া বেতনের দাবিতে চলমান শ্রমিকদের বিক্ষোভের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে যায়যায়দিনের প্রতিনিধি ও চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটির সদস্য শাহেদুল ইসলাম মাসুম এবং আজকের পত্রিকার প্রতিনিধি আব্দুল কাইয়ুমকে সংবাদ সংগ্রহে বাধা দেন ডবলমুরিং থানার ওসি বাবুল আজান। এসময় তিনি সাংবাদিকদের মোবাইল ও মাইক্রোফোন কেড়ে নিয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন। এক পর্যায়ে সাংবাদিক শাহেদুল ইসলাম মাসুমকে টেনে হিচড়ে থানা হাজতখানা নিয়ে যায়।
প্রায় ২০ মিনিট হাজাতখানায় আটকে রাখা হয়। পরে অনন্য গণমাধ্যম কর্মীদের উপস্থিতির কারনে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।’
বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের অনিয়ম ও দুর্নীতি সংক্রান্ত সংবাদ ইলেকট্রনিক গণমাধ্যমে প্রচারের পর সিএমপি কমিশনার কর্তৃক একটি প্রতিবাদপত্র প্রকাশিত হয়। তবে উরু প্রতিবাদপত্রে শুধু প্রতিবাদ নয়, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে হুমকিমূলক বার্তাও অন্তর্ভুক্ত ছিল বলে বিভিন্ন মহলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে।
সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের ২(খ) মতে মতপ্রকাশ ও সংবাদ সংগ্রহের স্বাধীনতা নিশ্চিত করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি মনে করে, দায়িত্ব পালনের সময় প্রশ্ন করা বা তথ্য সংগ্রহের কারণে সাংবাদিককে আটক সংবিধান বহির্ভূত। মৌলিক অধিকারে এমন হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।’
এ ঘটনার তদন্ত দাবি করে বিবৃতিতে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার্স ইউনিটি (সিএমআরইউ) এই ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। এবং আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে নিরপেক্ষ তদন্ত করে ওসির বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায়।
অন্যথায় সাংবাদিক সমাজ কঠোর কর্মসূচি নিতে বাধ্য হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন