চট্টগ্রাম বন্দরে ব্রাজিলফেরত কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা, খালাস স্থগিত

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা স্ক্র্যাপ বা পুরোনো লোহার টুকরার একটি চালানে তেজস্ক্রিয় পদার্থের উপস্থিতি শনাক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার খালাস স্থগিত করা হয়েছে।

বন্দরে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্তকরণের ব্যবস্থা ‘মেগাপোর্ট ইনিশিয়েটিভ রেডিয়েশন ডিটেকটিভ সিস্টেমে’ এটি শনাক্ত হয়। ১১ বছরের ব্যবধানে চট্টগ্রাম বন্দরে কোনো কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়ার উপস্থিতি মিলল।

কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার ডেমরার আল আকসা স্টিল মিলস লিমিটেড ব্রাজিল থেকে ১৩৫ মেট্রিকটন স্ক্র্যাপ লোহার চালানটি আমদানি করে। গত ৩ আগস্ট পাঁচ কনটেইনারে স্ক্র্যাপ লোহাগুলো নিয়ে এমভি মাউন্ট ক্যামেরন নামে একটি জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরে আসে। ব্রাজিলের মানাউস বন্দর থেকে কনটেইনার নিয়ে জাহাজটি পানামা, নেদারল্যান্ডস ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বন্দর ঘুরে চট্টগ্রামে আসে।

এরপর চট্টগ্রাম বন্দরের জিসিবি-৭ জেটিতে সেটি নোঙ্গর করে কনটেইনারগুলো খালাস করে। এর মধ্যে একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয়তা শনাক্ত হয়।

চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, ‘একটি কনটেইনার খালাসের আগে রেডিয়েশন সেন্সরে সংকেত পাওয়া যায়। এর পর সেটি আটকে রাখা হয়।’

কাস্টমস কর্মকর্তারা জানান, প্রাথমিক ও দ্বিতীয় পর্যায়ের স্ক্রিনিংয়ে কনটেইনারের ভেতরে থোরিয়াম-২৩২, রেডিয়াম-২২৬ এবং ইরিডিয়াম-১৯২ এ তিন ধরনের তেজস্ক্রিয় আইসোটোপের উপস্থিতি পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে এক মাইক্রোসিভার্ট মাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, যা তুলনামূলকভাবে কম মাত্রার তেজস্ক্রিয়তা।

কনটেইনারে থাকা স্ক্র্যাপ ও দেওয়ালের কারণে প্রকৃত মাত্রা আরও বেশি হতে পারে বলে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অভিমত।

চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের যুগ্ম কমিশনার মারুফুর রহমান বলেন, ‘কনটেইনারটির ডেলিভারি স্থগিত করা হয়েছে। সেটি নিরাপদ স্থানে রাখা হয়েছে। বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনকে জানানো হয়েছে। তাদের বিশেষজ্ঞরা সাইটে পরিদর্শন করবেন, এরপর আমরা পরবর্তী পদক্ষেপ নেব।’

এর আগে, ২০১৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর থেকে ভারতে যাওয়া একটি কনটেইনারে তেজস্ক্রিয় পদার্থ শনাক্ত হয়েছিল।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top