চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জঙ্গি প্রশিক্ষণের অভিযোগে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের হওয়া এক মামলায় খালাস পেয়েছেন হেফাজতে ইসলামের নায়েবে আমির ও ইসলামী ঐক্যজোটের চেয়ারম্যান মুফ্তি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীসহ আটজন।
সোমবার (৪ আগস্ট) চট্টগ্রামের সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবু হান্নান এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া বাকি সাতজন হলেন— মাহফুজুর রহমান অপু, আবুল ফারাহ রুম্মান, মো. আবুল কালাম, সালাহউদ্দিন হোসেন ভূঁইয়া, আবদুল্লাহ আল আমিন, মাওলানা নোমান ও মাওলানা সাব্বির আহমেদ।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০১০ সালের ১৩ ডিসেম্বর আটজনের বিরুদ্ধে রাউজান থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইন এবং বিস্ফোরক আইনে আলাদা দুটি মামলা করেন র্যাবের চট্টগ্রাম জোনের তৎকালীন উপ-সহকারী পরিচালক আইয়ূব আলী।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, রাউজান উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের গোদারপাড় এলাকায় পাহাড়ে রাবারবাগানে জঙ্গি প্রশিক্ষণের খবর পেয়ে ১২ ডিসেম্বর রাতে র্যাব অভিযান চালায়। এ সময় পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হলেও কয়েকজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
গ্রেফতার পাঁচজন হলেন— মাহফুজুর রহমান অপু, আবুল ফারাহ রুম্মান, মো. আবুল কালাম, সালাহউদ্দিন হোসেন ভূঁইয়া, আবদুল্লাহ আল আমিন। তাদের কাছ থেকে ৩৩টি উগ্রবাদী বই এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধারের তথ্য দেওয়া হয়েছিল মামলার এজাহারে।
গ্রেফতার পাঁচজনকে জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের কথা উল্লেখ করে মামলার এজাহারে আরো বলা হয়, চট্টগ্রাম নগরীর লালখানবাজার জামেয়াতুল উলুম আল ইসলামীয়া মাদরাসার পরিচালক মুফতি ইজাহারুল ইসলাম চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে ওই পাহাড়ে জঙ্গি প্রশিক্ষণ চলছিল।
এ ঘটনায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আটজনের বিরুদ্ধে আলাদাভাবে অভিযোগপত্র দাখিল করে র্যাব। সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় অভিযোগ গঠনের পর তিনজনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন আদালত। আর বিস্ফোরক আইনের মামলার বিচারকাজ চলমান আছে।
মুফতি ইজাহারের আইনজীবী আবদুস সাত্তার বলেন— ‘আমরা আদালতকে বলেছি, যে পাঁচজনকে রাউজান থেকে প্রশিক্ষণের তথ্যে গ্রেফতারের কথা র্যাব বলেছে, তাদের আরও দেড় মাস আগে ঢাকা ও পাবনা থেকে ধরে আনা হয়। তাদের পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সংবাদ মাধ্যমকে জানানো হলে দেড়মাস পর আকস্মিকভাবে র্যাব তাদের গ্রেফতারের তথ্য জানায়। মূলত জঙ্গি প্রশিক্ষণের নামে এটি ছিল র্যাবের একটি সাজানো নাটক। আদালত আমাদের বক্তব্যে সন্তুষ্ট হয়ে আট আসামির সবাইকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।’
আইনজীবী সাত্তার আরো জানান, রায় ঘোষণার সময় জামিনে থাকা সাত আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। মাওলানা সাব্বির আহমেদ ভিন্ন মামলায় কাশিমপুর কারাগারে আছেন। তাকে ভার্চুয়ালি যুক্ত করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ