পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক: ১১০ রানে পাকিস্তানকে গুটিয়ে দিয়ে নিজেদের কাজটা আগেই সেরে রেখেছিলেন বাংলাদেশের বোলাররা। ছোট লক্ষ্য তাড়ায় বাকি কাজটুকু সুনিপুণভাবেই সারলেন ব্যাটাররা। পারভেজ হোসেন ইমনের দারুণ ফিফটিতে পাকিস্তানকে ৭ উইকেটে উড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ। ইনিংসের বাকি তখনো ২৭ বল। এই জয়ে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটি টাইগারদের চতুর্থ জয়।

মামুলি লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুতে ভড়কেই দিয়েছিলেন তানজিদ হাসান তামিম ও লিটন দাস। ৭ রানের মধ্যেই এই দুজনকে হারায় বাংলাদেশ। অভিষিক্ত সালমান মির্জার বলে সুবিধা করতে না পেরে ১ রান করেই বিদায় নেন এই দুজন। তবে তৃতীয় উইকেটে তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ইমনের গড়া ৭৩ রানের জুটিই বাংলাদেশকে জয়ের পথ দেখিয়ে দেয়। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০ রানের কমে প্রথম ২ উইকেট খোয়ানোর পর তৃতীয় উইকেটে এটিই বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় জুটি।

দলীয় ৮০ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন হৃদয়। তার ৩৭ বলে ৩৬ রানের ইনিংসটি ছিল ২টি চার ও ২ ছক্কায় গড়া। হৃদয় আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ইমন। অপরাজিত ছিলেন ৩৯ বলে ৫৬ রান করে। ৩টি চারের সঙ্গে নান্দনিক এই ইনিংস খেলা পথে ৫টি ছক্কা হাঁকান ইমন। টি-টোয়েন্টিতে এটি তার টানা দ্বিতীয় ফিফটি। আরেক পাশে ১০ বলে ১৫ রান করে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী।

এর আগে, টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে বাংলাদেশের বিপক্ষে নিজেদের সর্বনিম্ন ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। এদিন শুরুটা আক্রমণাত্মকভাবেই করেছিল পাকিস্তান। সেই ধারা বেশ কিছুক্ষণ ধরেও রাখে তারা। তবে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে হারিয়েছে উইকেটও। পাওয়ার প্লের ৬ ওভারের মধ্যে হারায় ৪ উইকেট, তখন রান ৪১।

প্রথম ওভারে ৯ রান নেওয়ার পর দ্বিতীয় ওভারেও আক্রমণ চালায় পাকিস্তান। তবে তাসকিন আহমেদের করা ওই ওভারের পঞ্চম বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাইম আইয়ুব। শেখ মেহেদির করা প্রথম ওভারে তাসকিন আহমেদ ক্যাচ মিস করলেও তার দ্বিতীয় ওভারে সেই ভুল করলেন না শামীম হোসেন। দলীয় তৃতীয় ওভারের শেষ বলে আউট হয়ে ফেরেন বিধ্বংসী ব্যাটার মোহাম্মদ হারিস। চতুর্থ ওভার উইকেটশূন্য পার করে দিলেও পঞ্চম ওভারে আবারও উইকেট পায় বাংলাদেশ। এবার আক্রমণে এসে অধিনায়ক আগা সালমানকে ফেরান তানজিম হাসান সাকিব।

পাওয়ার প্লের শেষ ওভারে বোলিংয়ে আসেন অভিজ্ঞ মোস্তাফিজুর রহমান। পঞ্চম বলে আক্রমণাত্মক ব্যাটার হাসান নওয়াজকে রিশাদ হোসেনের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তিনি। এক ফখর জামান ছাড়া শুরুর পাঁচ ব্যাটারের কেউই দুই অঙ্কের রান স্পর্শ করতে পারেননি।

অষ্টম ওভারে মোহাম্মদ নওয়াজ রান আউট হলে ৪৬ রানেই ৫ উইকেট হারায় পাকিস্তান। এত কম রানে বাংলাদেশের বিপক্ষে আগে ৫ উইকেট হারায়নি দলটি। ষষ্ঠ উইকেটে খুশদিল শাহকে নিয়ে ২৪ রান যোগ করেন ফখর জামান। তবে এবারও ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউট। ৩৪ বলে ৪৪ রান করে দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক ফখর জামান ফিরে যান।

পাকিস্তান তাদের শতক পার করে খুশদিল ও আব্বাস আফ্রিদির ইনিংসে। সাত নম্বরে নেমে ২৩ বলে ১৭ রান করেন খুশদিল। আর আট নম্বরে নামা আব্বাস ২৪ বলে করেন ২২ রান। শেষ ওভারের প্রথম ৩ বলে তিন উইকেট হারিয়ে ১১০ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান। তবে হ্যাটট্রিক হয়নি তাসকিন আহমেদের। প্রথম বলে তিনি ফাহিম আশরাফকে আউট করেন। তবে দ্বিতীয় বলে সালমান মির্জা ফেরেন রান আউট হয়ে। আর তৃতীয় বলে আব্বাসকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন তাসকিন।

টাইগারদের হয়ে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নেন তাসকিন। জোড়া শিকার মোস্তাফিজুর রহমানের। একটি করে উইকেট নেন মেহেদি ও তানজিম হাসান সাকিব।

চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন

Scroll to Top