ঈদগাঁও প্রতিনিধি: কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গুলোতে বিরাজ করছে ভূতুড়ে পরিবেশ।
বিশেষ করে প্রাথমিক স্কুলগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ। এসব প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের অনুপস্থিতির সুযোগে জায়গা দখল করেছে মাদকসেবী ও জুয়াড়িরা।
অভিযোগ উঠেছে, উপজেলার পোকখালী ইউনিয়নের নাইক্যংদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থানীয় মাদকসেবী ও জুয়াড়িরা সন্ধ্যায় স্কুলের বারান্দা, ছাদ, পরিত্যক্ত রুম ও স্কুলমাঠে মাদক সেবন ও জুয়া খেলার আসরের আয়োজন করে।
এমন অভিযোগ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুলে ধরেছেন খোদ ঐ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোস্তফা হেলালী।
তিনি বলেছেন- বিদ্যালয়ের লেখাপড়ার মান উন্নয়ন, ছাত্র ছাত্রী বৃদ্ধি, অবকাঠামো উন্নয়ন সহ সার্বিক উন্নতির জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছি। বিদ্যালয়টি এলাকার সম্পদ। তবে, দুঃখের বিষয় রাত হলেই বিদ্যালয়টি বখাটেদের জুয়া, নেশার আড্ডাখানায় পরিনত হয়।
প্রতিদিন সকালে যখন বিদ্যালয়ে আসি, দেখতে পায় বিদ্যালয়ের ছাদ, স্কুলের বারান্দায় ও ছাদে ময়লা-আবর্জনা, পায়খানা-প্রসাব ও নেশা জাতীয় বিভিন্ন বস্তুর উচ্ছিষ্ট। তিনি এলাকাবাসীসহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপও কামনা করেন।
এ বিষয়ে ঈদগাঁও উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার রাশেদুল হাসান মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, প্রতিষ্ঠান বন্ধের সুযোগে মাদক-জুয়া খেলার ঘটনা ঘটতে পারে।
এজন্য বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত সমস্যা একটি কারণ হতে পারে বলে মনে করেন তিনি। অনেক বিদ্যালয়ের প্রাচীর নেই। আর সন্ধ্যার সময় তো শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে থাকেন না।
পোকখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক আহমদ বলেন, আমার ইউনিয়নের কোনো শিক্ষক বা পরিচালনা পরিষদ এমন সমস্যার কথা আমাকে অবহিত করেননি। তবে কেউ অভিযোগ দিলে প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে তা দ্রুত সমাধান করা হবে।
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিমল চাকমা বলেন, অবকাঠামো সমস্যা হোক আর পরিচালনা পরিষদের গাফিলতি হোক বিদ্যালয়ের আঙিনায় মাদক সেবনের বিষয়টি কোনোভাবেই ছাড় দেয়া হবে না।
এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠান প্রধানকে অবহিত করার পাশাপাশি প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়ে সমস্যা সমাধান করা হবে বলে জানান তিনি।
ঈদগাঁও থানার ওসি মোঃ মছিউর রহমান মাদক ও জুয়ার বিষয়ে জিরো টলারেন্সের কথা জানিয়ে বলেন, স্কুলের আশপাশের সচেতন মানুষ বা সংশ্লিষ্টরা গোপনে আমাদের অবহিত করলে আমরা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেব।
চাটগাঁ নিউজ/সেলিম/এমকেএন