আ.লীগ নেতার ছেলের বিয়েতে চিটাগাং ক্লাবে হুলস্থূল কাণ্ড!

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রাম বোয়ালখালী উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান জাহেদুল হককে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে চিটাগাং ক্লাবের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছিল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা। কারণ, সে ক্লাবে ছিল আওয়ামী লীগ নেতা জাহেদুল হকের ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান।

শুক্রবার (৪ জুলাই) রাত ১১টার সময় তারা চিটাগাং ক্লাবের সামনে অবস্থান নেন বলে জানা গেছে। এ সময় ভেতরে জাহেদুল হক উপস্থিত হয়েছেন, এমন খবরে তাকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ শুরু করেন ছাত্ররা।

তাদের অভিযোগ, ছেলের বিয়েতে ১২ মামলার পলাতক আসামি জাহেদুল হক উপস্থিত হয়েছেন। তারা ক্লাবের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন। বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে বের হওয়ার সময় অতিথিদের প্রতিটি গাড়ি তল্লাশি করছে সাধারণ শিক্ষার্থী, এনসিপির সদস্য ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা। এতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বিয়ের অনুষ্ঠানে আসা অতিথিরা। খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনীর টিম ছুটে আসেন চিটাগাং ক্লাবে।

বিষয়টি চাটগাঁ নিউজকে নিশ্চিত করেছেন  কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল করিম।

তিনি বলেন, বোয়ালখালীর এক আওয়ামী লীগ নেতা ছেলের বিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছিল চিটাগাং ক্লাবে। সেখানে সেই নেতা (জাহেদুল) উপস্থিত হয়েছে জেনে কিছু ছাত্ররা চিটাগাং ক্লাবের সামনে বিক্ষোভ করে। ঘটনাস্থলে আমরা উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি শান্ত করার চেষ্টা করি। তবে ক্লাবের ভিতরে খোঁজ করে আমরা জাহেদুল হককে পাইনি।

জানা গেছে, জাহেদুল হক চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ও স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংকের একজন পরিচালক। তিনি বোয়ালখালী উপজেলার সদ্য সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান। ছাত্র আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে এক ছাত্রের চোখ হারানোর ঘটনায় সম্প্রতি দায়ের করা এক মামলার আসামিও তিনি।

এদিকে ছাত্রদের অভিযোগ— শুরুতে চট্টগ্রাম ক্লাব কর্তৃপক্ষ ছাত্রদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। একপর্যায়ে তারা লোকজন জড়ো করে তাদের ওপর হামলারও চেষ্টা করে।

চট্টগ্রাম মহানগর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব নিজাম উদ্দিন বলেন, আমাদের হাতে জাহেদুল হকের উপস্থিতির একাধিক প্রমাণ রয়েছে। ছেলের বিয়েতে তিনি অংশ নিয়েছেন, সেই ছবি আমাদের কাছে আছে।

তিনি আরও বলেন, ‘হত্যাসহ অন্তত ১২টি মামলার পলাতক আসামি হয়েও দিব্যি চট্টগ্রাম ক্লাবে ছেলের বিয়ে করাচ্ছেন— এটা আইন ও ন্যায়বিচারের সঙ্গে তামাশা। তাকে আটক না করে উল্টো আমাদেরকে হামলা করা হচ্ছে।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top