আনোয়ার হোসেন ফরিদ, ফটিকছড়ি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলায় প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে ২২৯টি। এর মধ্যে দীর্ঘ দিন ধরে ৬২টি বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই। যে কারণে এসব বিদ্যালয়ে যথাযথ তদারকির অভাবে শিক্ষা কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে ২২৯টি বিদ্যালয়ে ৩৫ হাজার ৭৬ জন শিশু পড়ালেখা করে। অথচ ১০৫টি বিদ্যালয়ে নিয়মিত প্রধান শিক্ষক কর্মরত আছেন। ৬২টি বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষকরা ‘চলতি দায়িত্বে’ প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করছেন। সব মিলিয়ে ১৬৭টি বিদ্যালয়ে কোনও না কোনও ভাবে প্রধান শিক্ষক থাকলেও ৬২টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নেই।
স্থানীয় শিক্ষক ও অভিভাবক মহলের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য থাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। ফলে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তদারকি ও দায়িত্ব বিভাজনে সমস্যা তৈরি হচ্ছে বলেও জানান অভিজ্ঞ শিক্ষকরা। তারা দ্রুত প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়ে শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের দাবি জানিয়েছেন।
ফটিকছড়ি উপজেলার একাধিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা জানান, চলতি দায়িত্বে নিয়োজিত শিক্ষকরা প্রশাসনিক কাজের পাশাপাশি নিয়মিত ক্লাস নিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এতে বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে।
এ বিষয়ে উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা কর্মকর্তার হাসান মুরাদ চৌধুরীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেছি। দ্রুত শূন্য পদগুলো পূরণের জন্য চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। আশা করছি, শিগগিরই এ সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
শিক্ষক সংকটের বিষয়টি স্বীকার করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, আমার জানা মতে বিষয়টি নিয়ে মামলা চলমান রয়েছে। মামলার কারণে প্রক্রিয়াটি বর্তমানে ঝুলে আছে। তবে ইতোমধ্যে প্রধান শিক্ষকদের বেতন ও গ্রেড সংক্রান্ত বিষয়ে আদালত একটি রায় দিয়েছেন এবং তা বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রণালয় কার্যক্রম শুরু করেছে। কিন্তু বিষয়টি ঝুলে থাকায় বর্তমানে ফটিকছড়িতে শিক্ষক সংকট ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
তিনি আরও বলেন, আমি আন্তরিকতার সাথে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ডিইও) মহোদয়কে বিষয়টি অবহিত করেছি। আশা করছি সমস্যাটির সমাধানে সংশ্লিষ্ট মহল দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ