চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: চট্টগ্রামের পটিয়ায় থানার সামনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে চার পুলিশ সদস্যসহ ১০ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
মঙ্গলবার (১ জুলাই) রাত ১০টার দিকে এ সংঘর্ষের সূত্রপাত বলে জানা গেছে। এতে পুলিশের চার সদস্যের পাশাপাশি বৈষম্যবিরোধী নেতাকর্মীদের অন্তত ছয় জন আহত হয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রাত সাড়ে ৯টার দিকে পটিয়ার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে থেকে ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। পরে তাকে পটিয়া থানা চত্বরে নিয়ে আসা হয়। তবে ওই ছাত্রলীগ নেতার নামে কোনো মামলা না থাকায় পুলিশ গ্রেফতার করতে চায়নি।
এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশের উত্তেজনা দেখা দেয় এবং পরে সংঘর্ষে রূপ নেয়। পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠলে পুলিশ ওই ছাত্রলীগ নেতাকে নিজেদের হেফাজতে নেয় এবং নেতাকর্মীদের লাঠিপেটা করে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের চট্টগ্রাম মহানগর শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক রিদওয়ান সিদ্দিকী বলেন- খবর পেয়ে আমি পটিয়ায় ঘটনাস্থলে গেছি। আমাদের কর্মীদের ওপর পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। আহত কয়েকজনকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ২ জনকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জাহেদ মো. নাজমুন নূর বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারকর্মীরা ছাত্রলীগের এক নেতাকে থানায় নিয়ে এসেছিলেন। তবে নিয়ে আসার পরে মব সৃষ্টি করে তাকে মারধর করা হচ্ছিল। একদল নিরাপত্তাবেষ্টনী ভেঙে থানায় মব নিয়ে ঢুকে যাচ্ছিল। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়। এতে তিন-চার জন পুলিশ সদস্য আহত হন।
সকালে ‘পটিয়া ব্লকেড’
পটিয়া থানায় সংঘর্ষের এই ঘটনায় প্রশাসনের অবস্থান, আহতদের চিকিৎসা ও ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নিয়ে এলাকায় চলছে উত্তেজনা। রাজনৈতিকভাবে স্পর্শকাতর এই ঘটনার পেছনে ওসি আবু জাহেদের ভূমিকা নিয়ে তদন্তের দাবিও উঠেছে বিভিন্ন মহল থেকে।
রাতে চট্টগ্রামে জাতীয় নাগরিক পার্টি মিডিয়া সেলের মুখপাত্র আরফাত আহমেদ রনি জানান, জাতীয় নাগরিক পার্টি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের ওপর ৪-৫ গাড়ি নিয়ে পটিয়া ওসির নেতৃত্বে ন্যাক্কারজনক হামলার প্রতিবাদে বুধবার (২ জুলাই) সকাল ১০টায় পটিয়া থানার মোড়ে ‘পটিয়া ব্লকেড কর্মসূচি’ পালন করা হবে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ