চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: র্যাব পরিচয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্প হতে চাঞ্চল্যকর অপহরণ ও মুক্তিপণ দাবীরর অন্যতম হোতা মো. জায়েদ হোসেন ফারুককে (২২) র্যাবের ইউনিফর্ম, ফেইক আইডি কার্ড, দেশী ও বিদেশী অস্ত্র, গুলি ও হ্যান্ডকাপসহ গ্রেফতার করেছে র্যাব।
আজ সোমবার (৩০ জুন) দুপুরে র্যাব-১৫ কক্সবাজার সদর দপ্তরের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং সূত্রে জানা যায়, গত ১১ জুন রাতে রোহিঙ্গা ক্যাম্প-১৫ এর বাসিন্দা মো. হাফিজ উল্লাহকে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করে সন্ত্রাসী দল। বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন, সন্ত্রাসী ফারুক এবং শিকদারসহ বেশ কয়েকজন মিলে এই অপহরণ ঘটায় এবং ১৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে।
অপহরণের পর র্যাব-১৫ তাৎক্ষণিক অভিযানে নামে। বিভিন্ন ধাপে অভিযান চালিয়ে আফ্রিদি, আব্দুল গফুর এবং মূল অপহরণকারী বরখাস্তকৃত সৈনিক মো. সুমন মুন্সিকে আটক করা হয়। পরে গত ১৫ জুন আড়াই শতাধিক সদস্যের যৌথ অভিযানে অপহৃত হাফিজ উল্লাহকে উদ্ধার এবং একটি দেশীয় অস্ত্র, গুলি, র্যাবের ইউনিফর্ম ও ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়।
সর্বশেষ গত ২৭ জুন অপহরণকারী চক্রের অন্যতম সদস্য শিকদারকে গ্রেপ্তারের পর তার দেওয়া তথ্যে রবিবার (২৯ জুন) উখিয়ার মরিচ্যা থেকে সন্ত্রাসী ফারুককে আটক করা হয়। ফারুকের কাছ থেকে অপহরণে ব্যবহৃত ৪টি র্যাবের ইউনিফর্ম, ১টি র্যাবের ভুয়া আইডি কার্ড, ১টি হ্যান্ডকাফ, ১টি বিদেশি পিস্তল, ২টি দেশি আগ্নেয়াস্ত্র, ১০ রাউন্ড তাজা অ্যামুনেশন ও ১টি চাকু উদ্ধার হয়।
র্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে ফারুক জানায়, বরখাস্তকৃত সৈনিক সুমন তার সেনা অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে মিরপুরের শাহ আলী মার্কেট থেকে এসব র্যাবের ভুয়া ইউনিফর্ম তৈরি করাতো এবং চক্রটি বিভিন্ন সময়ে এসব ইউনিফর্ম ব্যবহার করে র্যাব পরিচয়ে অপহরণ করতো।
র্যাব-১৫ এর সহকারী পরিচালক (ল’ এন্ড মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার আ. ম. ফারুক জানান, রাষ্ট্রীয় বাহিনীর পোশাক ব্যক্তিগতভাবে তৈরি ও ব্যবহার করা গুরুতর অপরাধ। তিনি দেশের সকল টেইলার্স ও পোশাক প্রস্তুতকারী কোম্পানিদের এ ধরনের অপরাধ থেকে বিরত থাকতে সতর্ক করে দিয়েছেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও জানায়, ফারুককে গ্রেপ্তার করা হলেও রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন ও কুখ্যাত ডাকাত শাহআলমসহ কয়েকজন এখনও পলাতক রয়েছে। তাদের গ্রেপ্তারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
চাটগাঁ নিউজ/এমকেএন