অলস পড়ে আছে চসিকের ৬ কোটি টাকার ওয়েইড হারভেস্টার

উজ্জ্বল দত্ত : খালের বর্জ্য পরিচ্ছন্নতার জন্য স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে (চসিক) ওয়েইড হারভেস্টার দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেই মেশিনে কাজ করার জন্য খালের যে প্রশস্ততা ও গভীরতা দরকার তা চট্টগ্রামে নেই। ফলে অলস পড়ে আছে প্রায় ছয় কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের এ যন্ত্রটি।

জানা যায়, ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ‘সিটি কর্পোরেশন রক্ষিত উন্নয়ন সহায়তা’ খাতের বরাদ্দ দিয়ে আটটি ওয়েইড হারভেস্টার ক্রয় করেছিল। ৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে কেনা এই আটটি ওয়েইড হারভেস্টার চট্টগ্রামসহ দেশের আটটি সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া হয়।

চসিক পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তারা বলছেন, সরকারের পক্ষ থেকে ওয়েইড হার্ভেস্টার চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া হলেও এটি কাজ করার যে পরিবেশ সহায়তা প্রয়োজন, সেটি এখানে নেই। এটি ব্যবহার করতে হলে খাল বা বড় নালাগুলোর গভীরতা হতে হবে কমপক্ষে সাত ফুট। প্রশস্ততা হতে হবে কমপক্ষে ২০ ফুট। কিন্তু চট্টগ্রাম মহানগরীর খালগুলোর অধিকাংশের গভীরতা এমনটা নয়। আবার এটি খালে নামানোর মত অবস্থাও খুব কম এলাকায় রয়েছে। যার কারণে যন্ত্র্রটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

এ বিষয়ে চসিক উপ প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা বলেন, ওয়েইড হার্ভেস্টার স্থানীয় সরকারের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দেয়া হয়েছে। এটি আমাদের সাগরিকা স্টোরে আছে। খাল-নালা পরিচ্ছন্নতার জন্য এটি আমাদেরকে দেয়া হলেও তা ব্যবহারের মত খোলা জায়গা খালে নেই। এগুলো খালে নামাতে গেলে যথেষ্ট জায়গা লাগবে। এগুলো দিয়ে লেকের বর্জ্য, কচুরিপানা পরিস্কার করা যাবে। কিন্তু খালের বর্জ্য পরিস্কার করা একেবারে কঠিন। এটি আমরা ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু সম্ভব হয়নি। প্লান্ট হার্ভেস্টারের চেয়েও আরও গুরুত্বপূর্ণ অনেক যন্ত্রপাতি আমাদের প্রয়োজন। প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রপাতির জন্য সরকারের কাছে আবেদন করা হয়েছে।

ওয়েইড হার্ভেষ্টার সাধারণত একটি জলজ আগাছা কাটার যন্ত্র। যাকে জল ঘষার যন্ত্রও বলা হয়, যন্ত্রটি বিশেষভাবে জলের নিচের আগাছা, নলখাগড়া এবং অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ যেমন কচুরিপানা, শক্ত কঠিন শ্যা্ওলা বা ফসল কাটার জন্য ডিজাইন করা। তবে এটি দিয়ে ভাসমান বর্জ্যও পরিস্কার করা যায়।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top