চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: নামসর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রায় এক হাজার ১০২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে এস আলমের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সাইফুল আলমের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এসব মামলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ ৬৮ জনকে আসামি করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দুটি করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
প্রথম মামলায় ঋণের নামে ব্যাংক ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ৫৪৯ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতে সাইফুল আলমসহ ৩৭ জনকে আসামি করা হয়।
দ্বিতীয় মামলায় ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক থেকে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে ৫৫৩ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। এতেও সাইফুল আলমসহ ৩১ জনকে আসামি করা হয়।
প্রথম মামলার এজাহারে বলা হয়, ২০১২ সালে জাল কাগজপত্র ব্যবহার করে বাস্তবে অস্তিত্বহীন সাফরান ট্রেড ইন্টারন্যাশনালের নামে ১৫২ কোটি টাকার ঋণ সুবিধা অনুমোদন করা হয়। পরবর্তী বছরে কোনো টাকা পরিশোধ না করেও কাগজে-কলমে তথ্য জালিয়াতির মাধ্যমে ঋণ সীমা বাড়িয়ে সর্বশেষ ২০২৩ সালে ৪৫০ কোটি টাকা অতিরিক্ত উত্তোলন করা হয়। মোট ৫৪৮ দশমিক ৮০ কোটি টাকা ব্যাংক থেকে তুলে তা বিভিন্ন নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানে স্থানান্তরের পর এস আলম গ্রুপের মালিকানাধীন বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের হিসাবে স্থানান্তর করা হয়।
দ্বিতীয় এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান মেসার্স হুদা এন্টারপ্রাইজের নামে ভুয়া বিনিয়োগ প্রস্তাব তৈরি করে, জাল কাগজপত্র উপস্থাপন করে এবং ক্ষমতার অপব্যবহার করে প্রাথমিকভাবে ১০৫ কোটি টাকার ঋণ অনুমোদন করেন। পরে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সীমাতিরিক্ত ঋণ মঞ্জুর করে ৫৫৩ দশমিক ২১ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ