নিজস্ব প্রতিবেদক: বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দেশ জুড়ে মিথ্যা, হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের মহাযজ্ঞ চলছে। এতে করে রাজনৈতিক নেতাকর্মীর পাশাপাশি হাজার হাজার নিরপরাধ অরাজনৈতিক লোকজনকে উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে মামলায় জড়ানো হচ্ছে। এসব ভুয়া, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রতিরোধের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে গঠন করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর পর্যায়ে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের পক্ষ থেকে গঠিত কমিটিতে জেলা পর্যায়ে আহ্বায়ক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার (এসপি)। মহানগর পর্যায়ে কমিটির আহ্বায়ক চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার। দুইটি কমিটির প্রত্যেকটিতে অপর দুই সদস্য হলেন- বিভাগীয় কমিশনার প্রতিনিধি এবং জেলা লিগ্যাল এইড’র বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জননিরাপত্তা সূত্রে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলন চলাকালে ২০২৪ সালের ৫ জুলাই থেকে ৫ আগষ্ট পর্যন্ত সংঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে ভুয়া, মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা প্রতিরোধে গঠিত চট্টগ্রাম জেলা ও মহানগর কমিটি কার্যকর করার লক্ষ্যে সভা আহ্বান করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত থাকার জন্য আলাদাভাবে আহ্বায়কের পক্ষ থেকে সদস্যদেরকে গত ১৭ মে চিঠি পাঠানো হয়েছে। আজ ১৯ মে সিএমপি সদর দপ্তর কার্যালয়ে নগর কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এ ব্যাপারে সিএমপি পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (জনসংযোগ) মাহমুদা বেগম বলেন, জুলাই আন্দোলন পরবর্তী ঘটনাকে কেন্দ্র করে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলায় যাতে নিরপরাধ কেউ ক্ষতিগ্রস্ত না হন সেজন্য সরকারের পক্ষ থেকে জননিরাপত্তার স্বার্থে গঠিত প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক হয়েছে। তবে কমিটির প্রথম বৈঠকে কি কি সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়েছে সে বিষয়ে আমি অবগত নই। ঊর্ধ্বতন মহল এ বিষয়ে ভালো বলতে পারবেন।
এ বিষয়ে চট্টগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড’র প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. এরশাদ উল্লাহ বলেন, কমিটির সদস্য লিগ্যাল এইড চট্টগ্রাম জেলার বিচারক সিনিয়র সহকারী জজ রূপন কুমার দাশ মহোদয় বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ