চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: বকেয়া বেতন ও বোনাসের দাবিতে চট্টগ্রাম ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানা শ্রমিকেরা সড়ক অবরোধ করে আন্দেলন করেছে। তাদের এই আন্দোলনে স্থবির হয়ে পড়ে ইপিজেড এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা।
শ্রমিকদের সড়ক অবরোধ করে আন্দোলনের কারণে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে আটকা পড়ে কর্মজীবী মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রীগণ।
আজ সোমবার (১৯ মে) দুপুর থেকে তাদের এ সড়ক অবরোধের জেরে ইপিজেড এবং এর পার্শ্ববর্তী এলাকায় দীর্ঘ এই ভোগান্তির সৃষ্টি হয় বলে জানা গেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘মরিজ লিমিটেড’ নামে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় দুই হাজার শ্রমিক সকাল ৮টা থেকে ফ্যাক্টরির সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। পরে দুপুরের দিকে ফ্রিপোর্ট মোড়ে নেমে এসে রাস্তা অবরোধ করে। এর ফলে নগরীর ব্যস্ততম এই এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়। ভোগান্তিতে পড়ে নারী-শিশুসহ অসংখ্য মানুষ। নগরীর আগ্রাবাদ, বন্দরের বিভিন্ন এলাকা, বেপজা সংলগ্ন রাস্তাসহ বিস্তৃত এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। বিকেলের দিকে কিছু শ্রমিক ফেরত গেলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে আরো বেশ কিছুক্ষণ সময় লাগে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, মালিকপক্ষ গত এপ্রিল মাসের বেতন ও ঈদ বোনাস এখনো পরিশোধ করেনি। গতকাল রোববার তারা কর্মবিরতি পালন করেন। এরপর বেপজা, শিল্প পুলিশ ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকে মালিকপক্ষ রোববারের মধ্যে বেতন দেওয়ার আশ্বাস দেয়। কিন্তু আজ দুপুর পর্যন্ত কোনো ঘোষণা না আসায় শ্রমিকেরা ফ্রিপোর্ট মোড়ে অবস্থান নেন।
পুলিশ বলছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে এবং যেকোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঘটনাস্থলে সেনা সদস্যসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। তারা শ্রমিকদের সঙ্গে ধৈর্য ধরে কথা বলার চেষ্টা করছে এবং অবরোধ তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছে। তবে শ্রমিকরা তাদের ন্যায্য পাওনা অর্থাৎ বকেয়া বেতন অবিলম্বে পরিশোধের প্রতিশ্রুতি ছাড়া রাস্তা ছাড়তে নারাজ।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার সোহেল কবীর বলেন, ‘মরিজ নামের একটি গার্মেন্টেসের শ্রমিকরা বকেয়া বেতন আদায়ের জন্য আন্দোলন করছে। আন্দোলন করতে করতে তারা রাস্তায় নেমে পড়েছে। তাদের সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করছি। পাশাপাশি তাদের সঙ্গে এবং গার্মেন্টেসের মালিক পক্ষের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হচ্ছে। আশা করছি, কিছু সময়ের মধ্যে একটা সমাধান আসবে।’
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ