রাঙামাটি প্রতিনিধি: রাঙ্গামাটিতে ফ্যাসিবাদের মূর্তি অপসারনের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ফ্যাসিবাদ বিরোধী ছাত্র-জনতা, রাঙ্গামাটি জেলা শাখা।
মঙ্গলবার (১৩ মে) দুপুরে শহরের বনরুপা থেকে এক বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা পরিষদ কাযালয় ঘেরাও করে সেখানে ২ ঘন্টাব্যাপী সমাবেশ করে বিক্ষোভকারীরা।
শহিদুল ইসলাম শাফির সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিবাদ সভায় অন্যান্যর মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইরফানুল হক, সর্বজিত চাকমা, ইমাম হোসেন ইমু, হারুন ইবনে আব্দল খালেদ, তানিম ইবনে ইয়ম, সায়েদা খাতুন, মো আব্দুল্লাহ ও মো রাকিব উদ্দীন।
সমাবেশে বক্তারা আগামী ৪৮ ঘন্টার মধ্যে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ থেকে ফ্যাসিবাদের মূর্তি অপসারনের দাবী জানিয়েছেন অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারী দিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের ৩ মাস ২০ দিন পর গত বছরের ২৫ নভেম্বর শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্যটি প্লাস্টিকের ত্রিপল দিয়ে ডেকে রাখা হয়।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের পক্ষ থেকে এটিকে ডেকে রাখা হয় বলে জানা গেছে। মঙ্গলবারে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে ভাস্কর্যটি অপসারনের দাবী জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অর্থায়নে ২০১০-১১ অর্থবছরে প্রায় ৩০ হাজার বর্গফুট জায়গা জুড়ে বঙ্গবন্ধু ভাস্কর্য ও এর আশেপাশে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা নির্মাণ কাজ করে। ৩১ ফুট দৈর্ঘ্য ও সাড়ে ১২ ফুট প্রস্থের ভাস্কর্যটি এবং আশেপাশের বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণে প্রায় চারকোটি টাকা ব্যয় করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের (বর্তমান নাম-চারুকলা অনুষদ) শিক্ষক সবুজ এ ভাস্কর্যটির ডিজাইন করেন। ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ, ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসসহ গুরত্বপূর্ন দিবসের তারিখ উল্লেখ রয়েছে ভাস্কর্যের নিচের অংশে।
এছাড়া ভাস্কর্যের পাদদেশে দর্শনার্থীরা যাতে ঘুরে ফিরে দেখতে পারেন সেজন্য যথেষ্ট জায়গাও রাখা হয়েছে। ২০১৩ সালে ভাস্কর্যটি নির্মাণ কাজ শেষ হয়। সেই বছরের ২৩ ফেব্রুয়ারি এটি আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করা হয়।
চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/এমকেএন