আওয়ামী পরিবারের সন্তান এখন বিএনপির বড় নেতা!

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাবা জাফর আহমেদ চৌধুরী ছিলেন চট্টগ্রাম ১৪ আসনের আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য প্রার্থী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। আবার মা হাসিনা জাফর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রী। তবে এ দম্পতির সন্তান রাজীব চৌধুরী পেয়ে গেছেন দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ।

আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়ে কিভাবে এ রাজীব চৌধুরী বিএনপির পদ পেয়ে গেছেন তা নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। এ নিয়ে বিএনপির ত্যাগী নিবেদিত নেতারা রীতিমত ক্ষুব্ধ।

জানা যায়, গতকাল ৬ মে আওয়ামী লীগের জাফর আহমেদ দম্পতির সন্তান রাজীব চৌধুরীর দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য পদ অর্জনের খবরটি প্রকাশ পায়। অভিযোগ উঠেছে, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মীর নাছিরের ছেলে বর্তমান নগর বিএনপির আইকনিক নেতা ব্যারিস্টার মীর হেলালের ম্যাকানিজমে রাজীব চৌধুরীকে দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য পদে মনোনীত করা হয়েছে।

তবে আরও জানা যায়, আওয়ামী লীগ পরিবারের সন্তান হয়ে বিএনপির ফ্ল্যাগ পেয়ে যাওয়া এ রাজীব চৌধুরীর রাজনৈতিক ক্যারিয়ারও তেমন দীর্ঘ নয়। আওয়ামী লীগ আমলেও তাকে রাজনীতির মাঠে ময়দানে তেমন একটা দেখা যায় নি। একবারে পাদ প্রদীপের আলোয় না থেকে হুট করে আওয়ামী লীগের বিপরীত মতাদর্শী সংগঠন বিএনপির দক্ষিণ জেলার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য পদ অর্জন করায় তাকে নিয়ে চলছে হৈ চৈ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিএনপির নেতা কর্মীরা নানাভাবে নিজেদের ক্ষোভ প্রকাশ করে চলেছেন।

ইয়াছিন পারভেজ নামে দক্ষিণ জেলা বিএনপির এক নেতা পোস্ট করেছেন, “প্রবীণ আওয়ামী লীগ নেতা চট্টগ্রাম ১৪ আসনের নৌকার প্রার্থী জাফর আহমেদ চৌধুরী এবং কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী হাসিনা জাফরের সন্তান রাজীব চৌধুরীকে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মনোনীত করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি মীর হেলাল স্যারের প্রতি। যার চৌদ্দগুষ্টীসহ আওয়ামী লীগ সে হয় কমেডির সদস্য। আর যারা রাজপথে বছরের পর বছর রক্ত ঝড়ায় তারা হয় বঞ্চিত বিকাশ কমেডি।” ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে ইয়াছিন পারভেজ কমিটি শব্দটিকে ব্যঙ্গ করে হয়ত কমেডি শব্দটি ব্যবহার করেছেন।

এ বিষয়ে জানতে ব্যারিস্টার মীর হেলালের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ

Scroll to Top