বন্দরের উল্লেখযোগ্য পরিবর্তনে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম— প্রেস সচিব

নিজস্ব প্রতিবেদক : বাংলাদেশকে ম্যানুফ্যাকচারিং কান্ট্রিতে পরিণত করাই ড. ইউনূসের মূল লক্ষ্য উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন— দেশের সক্ষমতা বাড়াতে হলে আগে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধির দিকে মনোনিবেশ করতে হবে।

বর্তমানে চট্টগ্রাম বন্দরে ১২ লাখ ৭০ হাজার কন্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ের সক্ষমতা আছে। আমাদের লক্ষ্য এই সক্ষমতা আরো ৬ গুণ বাড়িয়ে ৭৬ লাখ কন্টেইনার হ্যান্ডেল করা। বন্দরের উল্লেখযোগ্য এই পরিবর্তনেই পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম।

শুক্রবার (২ মে) বিকেলে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা জানান।

শফিকুল আলম বলেন, আগামী ডিসেম্বর থেকে জুনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আমাদের লক্ষ্য এর মধ্যেই দেশকে এগিয়ে নিতে উল্লেখযোগ্য চুক্তিগুলো স্বাক্ষর করা। আগামী সেপ্টেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিদেশি একটি কোম্পানির সাথে চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে।

এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম চট্টগ্রামের পেশাদার সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার আড়ালে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্ট সরকারের দোসরদের মুখোশ উন্মোচন করতে ইনভেস্টিগেটিভ টিম তৈরী করার আহবান জানান।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি অনেক পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকরা জুলাই আন্দোলনে আমাদের ছাত্রদের পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছিল। তাদের খুঁজে বের করতে সাংবাদিকদের নিয়ে ইনভেস্টিগেটিভ টিম তৈরি করতে হবে। শুধু মুখে মুখে বললেই হবে না সুস্পষ্ট প্রমান থাকতে হবে। আইন ভায়োলেন্ট হলেই সরকার অ্যাকশনে যাবে।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, এই সমস্যা শুধু চট্টগ্রামের নয় এটি বাংলাদেশের সমস্যা। মিয়ানমার সরকারের সাথে আমাদের কথা চলছে, আশা করছি খুব দ্রুত এই সমস্যারও সমাধান হবে।

মতবিনিময় সভায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ছাড়াও আরো উপস্থিত ছিলেন— চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোহাম্মদ শাহনওয়াজ ও সাধারণ সম্পাদক সালেহ নোমানসহ পত্র-পত্রিকা ও টিভি চ্যানেলের সাংবাদিকবৃন্দ।

চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/জেএইচ

Scroll to Top