মিরাজের ফাইফারের দিনে ২৫ রানে পিছিয়ে বাংলাদেশ

ক্রীড়া ডেস্ক: প্রথম ইনিংসে ৮২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমেছিল বাংলাদেশ। প্রত্যাশা ছিল ভালো শুরু এনে দেবেন দুই ওপেনার। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) ব্যাটে রান পাওয়ার কারণে আবারও দলে সুযোগ পেয়েছিলেন সাদমান ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ভিক্টর নিয়াউচির বলে গালিতে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছিলেন ১২ রান করে। দ্বিতীয় ইনিংসে আবারও ব্যাট হাতে ব্যর্থ বাংলাদেশ ওপেনার।

সাদমানের সাজঘরে ফেরায় নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১ উইকেট হারিয়ে ৫৭ রান করে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে টাইগাররা। পিছিয়ে আছে ২৫ রানে।

সাজঘরে ফিরতে পারতেন মাহমুদুল হাসান জয়ও। ব্লেসিং মুজারাবানির বলে উইকেটের পিছনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে ক্যাচ মিসের কারণে এই যাত্রায় বেঁচে গেছেন তিনি। দিন শেষ করেছেন ২৮ রানে অপরাজিত থাকে। উইকেটের অপর প্রান্তে থাকা মুমিনুল হক অপরাজিত আছেন ১৫ রানে।

৬৭ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দ্বিতীয় দিন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। দিনের শুরুতেই বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন পেসার নাহিদ রানা, যখন তিনি বেন কারানকে ফিরিয়ে দেন এবং ভেঙে দেন উদ্বোধনী জুটি। এরপর বিদায় করেন আগের দিন ওয়ানডে ধাঁচে ব্যাট করে অর্ধশতক পাওয়া ব্রায়ান বেনেটকে। এরপর নিক ওয়েলচকে থামান হাসান মাহমুদ।

এরপর ৪ উইকেটে ১৩৩ রান নিয়ে দিনের দ্বিতীয় সেশন শুরু করেছিল জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ তখনও এগিয়ে ৫৮ রানে। শন উইলিয়ামস ও ওয়েসলি মাদেভেরের ৪৮ রানের জুটিতে দ্বিতীয় সেশনে ঘুরে দাঁড়ায় সফরকারীরা। মাদেভেরে ২৪ ও শন উইলিয়ামসম আউট হয়েছেন ৫৯ রানে। দ্বিতীয় সেশনে এই দুই উইকেটই নিতে পেরেছিল বাংলাদেশ।

৬ উইকেটে ২১৩ রান নিয়ে চা-বিরতিতে গিয়েছিল জিম্বাবুয়ে। ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন নায়াশা মায়াভো। ২২ রানের লিড নিয়ে বিরতিতে যাওয়া জিম্বাবুয়ে স্বপ্ন দেখছিল বড় সংগ্রহের। তবে দিনের তৃতীয় সেশনে সফরকারীদের লাগাম টেনে ধরলেন মেহেদি হাসান মিরাজ। শেষ চার উইকেটের সবগুলো একাই নিয়েছেন। আর তাতেই ৫২ রান দিয়ে ক্যারিয়ারে ১১ তম বারের তম পাঁচ উইকেটের দেখা পেলেন তিনি। আর তাতেই ৮২ রানের লিডেই থামে সফরকারীরা।

মিরাজের পাঁচ উইকেট ছাড়াও পেসার নাহিদ রানা নিয়েছেন ৩ উইকেট। এছাড়া খালেদ আহমেদ ও হাসান মাহমুদ নিয়েছেন একটি করে উইকেট।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top