ফটিকছড়িতে এসিল্যান্ডের পদ শূন্য: দুর্ভোগে সেবা প্রত্যাশীরা

ফটিকছড়ি সংবাদদাতা: ফটিকছড়ি উপজেলা ভূমি অফিসে ২ মাসের বেশি সময় ধরে সহকারী কমিশনার বা এসিল্যান্ড (ভূমি) নেই। দীর্ঘ সময় পদ শূন্য থাকায় জমি কেনাবেচা, নামজারি, ভূমি উন্নয়ন কর সেবা মিলছে ধীরগতিতে। প্রতিদিন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এছাড়া ব্যাহত হচ্ছে বাজার মনিটরিং ও ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার কাজ।

উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা গেছে, ২০২৫ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সহকারী কমিশনার (ভূমি) আব্দুল আল আলমিন বদলি হয়ে অন্যত্র চলে যান। বর্তমানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী নিজ দায়িত্বের পাশাপাশি উপজেলা পরিষদ ও পৌর প্রশাসকের অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন।

এসিল্যান্ড না থাকায় উপজেলার ১৮টি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার নামজারি ও জমাখারিজসহ ভূমিসংক্রান্ত নানা কাজে ধীরগতি দেখা দিয়েছে। এসব সেবা না পাওয়ায় অনেকের জমি বেচাকেনা বন্ধ আছে। জমি খারিজ না করার কারণে জমি বেচাকেনা করতে পারছেন না সাধারণ মানুষ।

আব্দুল মালেক নামের এক ভুক্তভোগী জানান, প্রায় দুই মাস আগে তিনি নামজারি জমাখারিজের আবেদন করেন। এখন পর্যন্ত জমির নামজারি জমাখারিজ হয়নি। কবে নাগাদ জমাখারিজ হবে, তাও নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না অফিসের কেউ।

কয়েকজন দলিল লেখক জানান, ডিসেম্বর মাসের পুরো সময়টা ধরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের সার্ভার বন্ধ থাকায় নামজারিসহ বিভিন্ন সেবা থেকে বঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ। এ ছাড়া বর্তমানে এসিল্যান্ড না থাকায় নামজারি করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফলে সঠিক সময়ের মধ্যে সেবাগ্রহীতারা নামজারি করতে না পারায় দলিল রেজিস্ট্রি করতে পারছেন না।

উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, উপজেলা ভূমি অফিসের অধীনে ৬টি সহকারী ভূমি অফিস রয়েছে। সহকারী কমিশনার পদ শূন্য থাকলেও সেবা প্রার্থীরা নিয়মিত সেবা পাচ্ছেন। চট্টগ্রাম জেলার ২১ টি সহকারি কমিশনার পদের ভিতরে আমরা গত মাসে অবস্থান করেছিলাম প্রথম স্থানে।

চাটগাঁ নিউজ/আনোয়ার/এমকেএন

Scroll to Top