চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : মূল্যস্ফীতিতে বাংলাদেশের অর্থনীতি স্বস্তির দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামে বাংলাদেশ ব্যাংক কার্যালয়ে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ড. আহসান এইচ মনসুর এ সময় বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য এখন জুনের শেষে মুল্যস্ফীতি ৭-৮ এর মধ্যে রাখা। জুলাই মাসে এই মুল্যস্ফীতি পাওয়ার আশা করছি। ইনশাল্লাহ আগামী বছর এটাকে ৫ বা তার নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করা হবে। সেটা করতে পারলে আমরা মূল্যস্ফীতিটা অনেকখানি কমিয়ে আনতে পারব। আর এর সাথে ইন্টারেস্ট রেট কমিয়ে আনতে পারব।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার যে উদ্যোগ এটা একেবারেই বাংলাদেশের জন্য নতুন। সিস্টেমেটিক্যালি এ ধরনের প্রবলেম আগে ফেইস করিনি। ফেইস করে থাকলেও এ ধরনের প্রচেষ্টা নেওয়া হয়নি। এই প্রথম আমরা এটা করছি। সেই জন্য আমাদের অনেক শিখতে হচ্ছে। এটা তো দেশের আইনে হবে না। বিদেশিদের সঙ্গে আমাকে সংযোগ স্থাপন করতে হবে। তাদের আইনের সাথে সংগতি রেখে কাজ করতে হবে। প্রথম ধাপে চেষ্টা করতে হবে সম্পদগুলো চিহ্নিত করা। সেই ব্যাপারে বিভিন্ন দেশের সরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলাপ করছি। আইনি সহায়তার জন্য আমরা চিঠি পাঠাচ্ছি। বিভিন্ন ল’ ফার্মের সাথে কথা বলছি, তাদের হয়তো খুব শিগগির হায়ার করবো।
বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর বলেন, চট্টগ্রামেরই বড় গ্রুপের অন্ততপক্ষে সোয়া লাখ কোটি টাকা থেকে দেড় লাখ কোটি টাকা নিয়েছে ব্যাংকিং খাত থেকে। আরও কিছু গ্রুপ আছে। ২০, ৪০, ৫০ হাজার কোটি টাকা নিয়েছে। আমার ধারণা বড় গ্রুপগুলোর আড়াই-তিন লাখ কোটি টাকা হতে পারে। ছোটগুলো বাদে। সেগুলোও আদায় করতে হবে অর্থঋণ আদালতসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়ায়।
তিনি আরও জানান, বিদেশে কোথায় কার কী পরিমান সম্পদ আছে, তা পর্যালোচনা করা হচ্ছে। তবে এসব সম্পদ ফিরিয়ে আনতে এক বছরেরও বেশি সময় লাগবে জানিয়ে গভর্নর বলেন, বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কাজ চলছে।
দেশে রেমিটেন্স ২৬ থেকে ২৭ শতাংশ বেড়েছে জানিয়ে ড. আহসান এইচ মনসুর আরও বলেন, বিদেশি মুদ্রার রিজার্ভ এখন স্থিতিশীল পর্যায়ে আছে। রপ্তানি বাড়ার কারণে আর্থিক খাতে স্বস্তির মধ্যে রয়েছে বলেও জানান গভর্নর।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ