নিজস্ব প্রতিবেদক : শারীরিক নির্যাতনে গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে পুলিশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেনের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্নার দায়ের করা একটি মামলা খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) দুপুরে মামলাটি খারিজ করে দিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালত।
শারীরিক নির্যাতনে গর্ভের সন্তান নষ্টের অভিযোগে গত ১৫ জানুয়ারি চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেনের আদালতে মামলার আবেদন করেছিলেন তামান্না। মামলায় নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার সাব ইন্সপেক্টর জগৎ জ্যোতি দাশ ও মনিরুল ইসলাম, সরোয়ার হোসেন বাবলা, জাবেদ ওরফে ভাগিনা জাবেদ ও আনিকা ইসলামকে মামলায় আসামি করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ৫ ডিসেম্বর ভোরে বাদীর স্বামী সাজ্জাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে নগরের অক্সিজেন মিরপাড়া হাউজিং সোসাইটির ইউনুস টাওয়ারের ভাড়া বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। স্বামীকে না পেয়ে নারী পুলিশ ছাড়া বাদীকে আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় বাদীকে থানায় নিয়ে মারধর করেন। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে আটক ব্যক্তিকে আদালতে হাজির করার বিধান থাকলেও আটকের পর দুই দিনের মাথায় একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করে পুলিশ। কিছুদিন কারাভোগের পর সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পান বাদী। এরপর শারীরিক পরীক্ষা শেষে গর্ভে থাকা তিন মাসের অনাগত শিশু নষ্ট হয়ে গেছে বলে বাদীকে জানান সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।
উল্লেখ্য, গত ১৫ মার্চ ঢাকার বসুন্ধরা সিটি শপিং মল থেকে সস্ত্রীক ঈদের কেনাকাটা করার সময় সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে বুড়ির নাতি সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মিডিয়ায় দেয়া সাক্ষাতকারে পুলিশের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেন। বান্ডিল বান্ডিল টাকা ঢেলে তিনি স্বামীকে ছাড়িয়ে আনবেন বলেও বলেন। এরপর বাকলিয়া থানার এক্সেস রোডে প্রাইভেট কার ঘেরাও করে এলোপাতাড়ি গুলি করে দুইজনকে নিহতের ঘটনায় সাজ্জাদের সাথে তার স্ত্রী তামান্নাকেও হুকুমের আসামি করা হয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ