আতর-টুপির দোকানে শেষ মুহূর্তে ভিড়

নিজস্ব প্রতিবেদক : পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন নতুন জামাকাপড় পড়বেন। আর নতুন টুপি মাথায় দিয়ে নতুন জায়নামাজ নিয়ে ঈদগাহে যাবেন না এমনকি হয়? ঈদের কেনাকাটা এখন প্রায় শেষ। তাই ক্রেতারা এখন নজর দিয়েছেন টুপি, জায়নামাজ, পারফিউম আর সুরমা কেনাতে।

দেখা গেছে, নগরীর বিভিন্ন মার্কেট, শপিংমল ও ফুটপাতে মনিহারী সামগ্রীর দোকানসহ মসজিদ, মাজার কেন্দ্রিক আতর, টুপি, জায়নামাজ ও সুরমার দোকানগুলোতে ভিড় বেড়েছে। ক্রেতারা যাচাইবাছাই করে কিনে নিচ্ছেন পছন্দের টুপি, পারফিউম, আতর, জায়নামাজ আর সুরমা।

চকবাজার অলি খাঁ মসজিদ, ওয়াসা মোড়স্থ জমিয়তুল ফালাহ, আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ, চন্দনপুরা জামে মসজিদ, গরীবুল্লাহ শাহ মাজার, জেল রোডস্থ শাহ আমানত মাজার এলাকায় আতর, টুপি, জায়নামাজ ও সুরমা নিয়ে প্রায় শতাধিক বিক্রেতা বসেছেন। বিকিকিনিও জমজমাট।

চকবাজার এলাকায় বিভিন্ন ডিজাইনের টুপি বিক্রি হচ্ছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকায়। আবার ভাল কোয়ালিটির হাতের কাজ করা টুপির দাম ২০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত রাখা হয়েছে। মুসল্লীদের কাছে সাধারণত গোল ও কিস্তি টুপির চাহিদা বেশি। বাংলাদেশে আফগানিস্তান, ইরান, ইরাক, সৌদি আরব, ভারত, পাকিস্তানি টুপির আমদানি বেশি।

এর বাইরেও নগরীর বিভিন্ন এলাকার অলি-গলি, সংলগ্ন মসজিদ গেইটে উঠতি বয়সী কিশোর-যুবকেরা শখ ও বাড়তি আয়ের আশায় আতর, টুপি, জায়নামাজ, পারফিউমের পসরা নিয়ে বসেছেন। এখান থেকে নামাজ ও ইফতারের সময় মসজিদে আগত মুসল্লীরা কিনে নিচ্ছেন টুপি, আতর, জায়নামাজসহ নানা সামগ্রী।

চকবাজার অলি খাঁ মসজিদ সংলগ্ন ফুটপাতে টুপি, আতর, সুরমা, জায়নামাজ নিয়ে বসেছেন মাওলানা আতাউল্লাহ। আলাপচারিতায় তিনি জানান, আমি একজন কোরানে হাফেজ। টিউশন করি। বহদ্দারহাট শমসের পাড়া এলাকার একটি মাদ্রাসায় পড়াই। অবসর সময়ে চকবাজারে টুপি, আতর, জায়নামাজ, পারফিউম বিক্রি করি। এবছর বিক্রি তেমন আশাব্যঞ্জক নয়। বিক্রেতা বেড়ে গেছে। তার উপর আবার নানামুখী হয়রানি। দোকানের সামনে দোকানদার বসতে দেয় না। ফুটপাতে বসলে পুলিশে তুলে দেয়। ভয়ে ভয়ে ব্যবসা করতে হয়।

কোয়ালিটি আতরের মধ্যে এডিডাস ১১০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা, অ্যাঞ্জেল ও জমজম আতর বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৫৫০ টাকায়। জান্নাতুল ফেরদৌস, জেসমিন, রোজ ও দিলরুবা বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ থেকে ৫০০ টাকা তোলা, রেড রোজের তোলা ১৫০০-১৮০০ টাকা, এরাবিয়ান বেলি ১২০০ থেকে ১৫০০ টাকা, মর্নিং কুইন ২০০০ টাকা, আসওয়াদ ১০০০ থেকে ১৪০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তবে আল হারামাইনসহ নামি কোম্পানির বিভিন্ন কোয়ালিটির পারফিউমের তোলা ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

ভারতের বেলি ৫০০ থেকে ৭০০, ব্লু লেডি, ব্লু ফোরম্যান ৭০০ থেকে ৯০০, কুলম্যান ৮০০ থেকে ১১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। দেশি আতরের মধ্যে হাসনাহেনা, রজনীগন্ধা, গোলাপ, বেলি ও নাইট ফ্লাওয়ার বিক্রি হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকায়। জৈতুন ও নিমের মেসওয়াক বিক্রি হচ্ছে ১০ থেকে ৩০ টাকায়।

আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদ মার্কেটের আর রাহিক পারফিউমের স্বত্বাধিকারী নিজাম উদ্দিন বলেন, এবার বিক্রি মোটামুটি চলছে। চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলাসহ বাইরের জেলা থেকে আমাদের কাস্টমার আসে।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ

Scroll to Top