নিজস্ব প্রতিবেদক: কথায় আছে ‘চোরের মায়ের বড় গলা’- ঠিক এমনি এক ঘটনা ঘটেছে আনোয়ারা থানার মালঘর এলাকায়। স্বর্ণ চুরি করে আবার ভুক্তভোগির নামেই মামলা দিলেন চোর নিজেই। এমনি এক অভিযোগ করেন ৮ ভরি স্বর্ণ চুরি যাওয়া গৃহবধূ নুসরাত সোলতানা তানজি।
জানা যায়, অসুস্থতার খবর শুনে শ্বশুর বাড়ি থেকে বাবাকে দেখতে আসেন নুসরাত সোলতানা তানজি। সেখানেই দেখা হয় চাচাতো বোনের মেয়ে শাহিনা আক্তার শামুর সাথে। শামুও এসেছেন শ্বশুর বাড়ি থেকে।
তানজির হাতে থাকা বালা-ব্রেসলেট, রিং ও চেইন দেখে চোখ জ্বল জ্বল করে উঠে শামুর। লোভ জাগতে থাকে শামুর মনে। ছক কষতে থাকেন তানজির গহনাগুলো চুরি করার।
তানজি জানান, তার মা বিদ্যুৎ বিল দিতে আনোয়ারায় যান, ঘর ফাঁকা থাকায় সুযোগ পেয়ে যান শামু। গল্প করার জন্য বাইরে ডাকেন তানজিকে। সবাইকে গল্পের খোশ আড্ডায় ব্যস্ত রেখে নিজের বাচ্চাকে তানজির কোলে দেওয়ার সুযোগ কাজে লাগিয়ে আলমারি থেকে স্বর্ণ আর নগদ টাকা চুরি করেন শামু।
স্বর্ণালংকার চুরির সময় তার অসুস্থ বাবা ওই ঘটনা নিজ চোখে দেখেছেন বলেও জানান ভুক্তভোগী তানজি।
তবে এ যেন ‘চোরের মায়ের বড় গলা’- বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শিমু বেশ বড় গলায় বলেন, কি প্রমাণ আছে তাদের কাছে? আগে চুরির প্রমাণ দেখাতে বলেন।
সত্য যেন কখনোই চাপা থাকে না, এই চুরির প্রমাণ মিলে আনোয়ারায় এক জুয়েলার্সের দোকানে টাকা লেনদেনের ভিডিও থেকে।
খবর নিয়ে জানা যায়, শামুর স্বামী শাহেদুল ইসলাম তপু পেশায় একজন সিএনজি অটোরিকশাচালক। তবে চুরির পরপরই বিভিন্ন মানুষের কয়েক লক্ষ পাওনা টাকা পরিশোধের তথ্য পাওয়া যায় প্রতিবেদকের অনুসন্ধানে।
এদিকে, শালিসি বৈঠকে উপস্থিত থাকা ইউপি সদস্য আবু ফয়েজ জানান, এলাকায় শালিসি বৈঠকে সকলের সামনে স্বামী-স্ত্রী দুজনেই তানজির স্বর্ণ চুরি করার বিষয়টি শিকার করেন।
তিনি আরও জানান, শালিসি বৈঠকে স্বর্ণলংকার ফেরত দিবে জানিয়ে স্বর্ণ আনতে যাবে বলে বাড়ি যাওয়ার পথে সিএনজিচালিত গাড়ী থেকে লাফ দিয়ে নেমে যান শামু। পরে আর বিচারে না এসে উল্টো তানজিসহ আরো বেশ কয়েকজনের নামে থানায় অপহরণ মামলা করেন তিনি। অথচ যাদের নামে মামলা হয়েছে তারা এ বিষয়ে কিছুই জানেন না।
এ বিষয়ে আনোয়ারা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মনির হোসেন বলেন, একটি অপহরণ মামলা হয়েছে, আমরা তদন্ত করে দেখছি। এছাড়াও অন্য পক্ষ একটি চুরির মামলা করেছে সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছি।
চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/জেএইচ