আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গাজা থেকে দুই মিলিয়নের বেশি ফিলিস্তিনিকে স্থায়ীভাবে উচ্ছেদের পরিকল্পনা থেকে সরলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তার এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছে হামাস।
বুধবার (১২ মার্চ) হোয়াইট হাউসে আয়ারল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিনের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প বলেন, ‘কেউ ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদ করছে না।’
এরপর হামাসের মুখপাত্র হাজেম কাসেম এক বিবৃতিতে বলেন, ‘যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্য গাজার জনগণকে বাস্তুচ্যুত করার পরিকল্পনা থেকে কোনো পিছু হটার ইঙ্গিত দেয়, তবে আমরা এটিকে স্বাগত জানাই।’
গত মাসে ট্রাম্প গাজাকে মার্কিন নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার এবং ফিলিস্তিনিদের প্রতিবেশী দেশগুলোতে পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়ে পুরো মধ্যপ্রাচ্যে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।
তবে বুধবার (১২ মার্চ) কাতারে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে মার্কিন মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক দূত স্টিভ উইটকফের সঙ্গে আলোচনায় ছয়টি আরব দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা গাজার পুনর্গঠনের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেন।
কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, কাতার, জর্ডান, মিসর, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনের (পিএলও) সেক্রেটারি-জেনারেল বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ৪ মার্চ কায়রোতে অনুষ্ঠিত আরব লীগ সম্মেলনে অনুমোদিত গাজা পুনর্গঠন পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছেন।’
শনিবার (৮ মার্চ) ৫৭ সদস্যবিশিষ্ট ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি) সৌদি আরবে এক জরুরি বৈঠকে গাজার ভবিষ্যৎ প্রশাসন নিয়ে একটি পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে, যা আরব লীগের দেওয়া প্রস্তাবের ওপর ভিত্তি করে তৈরি।
এটি মূলত মিসরের নেতৃত্বাধীন একটি উদ্যোগ, যা গাজাকে পুনর্গঠন করতে এবং ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের অধীনে পরিচালিত একটি নতুন প্রশাসন গঠনের প্রস্তাব দেয়।
বিশ্লেষকদের মতে, ট্রাম্পের গাজা দখলের পরিকল্পনার প্রেক্ষিতে এই প্রস্তাব এসেছে এবং এতে আরব বিশ্ব ঐক্যবদ্ধ প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ