রাঙামাটি প্রতিনিধি: পাহাড়ের গহীন অরণ্যে সামরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করে অবৈধ অস্ত্রের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি সামরিক সশস্ত্র তৎপরতা চালানোর গোপন আস্তানার সন্ধান পেয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
শুক্রবার (৭ মার্চ) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে পরিচালিত বিশেষ অভিযানে এর অস্তিত্ব পায়। বিকালে রাঙামাটি সদর জোনে এক প্রেস বিফ্রিংয়ে অভিযানের তথ্য দেন জোন কমান্ডার লে. কর্নেল জুনায়েদ শাহ চৌধুরী।
অভিযান চলাকালে সংগঠনটির গোপন আস্তানা থেকে একটি পিস্তল, ১৭ রাউন্ড গুলি, একটি বাইনোকুলার, কয়েকটি ওয়াকিটকি সেট, একটি হার্ডডিস্ক, ইউনিফর্ম, চাঁদা আদায়ের রসিদ, বিপ্লবী লাল বইসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। তবে কাউকে আটক করতে পারেনি সেনাবাহিনী।
লে. কর্নেল মুহাম্মদ জুনাইদ উদ্দীন শাহ চৌধুরী জানান, শুক্রবার ভোরে গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে কাউখালি এলাকায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেনাবাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। তবে তাদের ব্যবহৃত বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়। এসময় অভিযান বাধাগ্রস্থ করতে ইউপিডিএফ কিছু সংখ্যক পাহাড়ি মহিলা দ্বারা বিক্ষোভ প্রদর্শনের অপচেষ্টা করে।
পাহাড়ের শান্তি বিনষ্টকারী এবং সার্বভৌমত্বের প্রতি হুমকি প্রদানকারী সকল সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে সেনা অভিযান চলমান থাকবে বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় কাউখালি থানায় মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানিয়েছেন রাঙামাটি সরদ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. মাহমুদ খান।
চাটগাঁ নিউজ/আলমগীর/এমকেএন