চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান একটি ভালো উৎস: খাদ্য মহাপরিচালক

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : চট্টগ্রাম বন্দরে চাল নিয়ে আসা পাকিস্তানের পতাকাবাহী জাহাজ এমভি সিবি থেকে চাল খালাসের কাজ শুরু হয়েছে। পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে ২৬ হাজার মেট্রিক টন চাল নিয়ে আসা জাহাজটি বুধবার চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে ভেড়ে। বেসরকারিভাবে পাকিস্তান থেকে আসলেও গত দেড় দশকে সরকারি চুক্তির আওতায় চাল নিয়ে আসা প্রথম পাকিস্তানি জাহাজ এটি।

নমুনা পরীক্ষা ও যাবতীয় পরীক্ষা শেষে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই শুরু হয় চাল খালাস কার্যক্রম। খালাস কার্যক্রম পরিদর্শনে আসেন খাদ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর।

এসময় সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘চাল আমদানির ক্ষেত্রে পাকিস্তান বাংলাদেশের জন্য একটি ভালো উৎস। এ ধরনের বিকল্প উৎস যত থাকবে, ক্রেতা হিসেবে আমাদের তত সুবিধা হয়। সরবরাহ যত বেশি হবে, ক্রাইসিস তত কমবে।’

মহাপরিচালক আরও বলেন, ‘পাকিস্তানের সঙ্গে ৫০ হাজার মেট্রিক টন চাল আমদানির চুক্তি হয়েছে। মোট ৫০ হাজার মেট্রিক টন আতপ চাল আসবে। এর মধ্যে এখন যে জাহাজটা এসেছে, সেখানে ২৬ হাজার ২৫০ মেট্রিক টন এসেছে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ জানুয়ারি ঢাকায় সরকারি পর্যায়ে পাকিস্তান থেকে ৫০ হাজার টন চাল আমদানির সমঝোতা স্মারক সই হয়। এর আওতায় মঙ্গলবার (৪ মার্চ) পাকিস্তানের কাসিম বন্দর থেকে প্রথম চালানের চাল নিয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে পাকিস্তানি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি সিবি’। বুধবার সেটি সিসিটি-১ জেটিতে ভেড়ানো হয়। আজ (বৃহস্পতিবার) থেকে চাল খালাস শুরু হয়েছে।

জাহাজটির স্থানীয় প্রতিনিধি রেনু শিপিং লাইন্সের ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আরফান জানিয়েছেন, পাকিস্তান থেকে প্রথম চালানের বাকি চাল রমজানের মধ্যেই চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছবে।

গত দেড় দশকে সরকারি চুক্তির আওতায় চাল নিয়ে পাকিস্তান থেকে এই প্রথম একটি জাহাজ বাংলাদেশে এসেছে বলে শিপিং ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন।

হতদরিদ্রদের চাল ও গম বিতরণের পরিমাণ কমেছে- এ বিষয়ে জানতে চাইলে মহাপরিচালক আবুল হাছানাত হুমায়ুন কবীর বলেন, ‘আমাদের কাছে যে পরিসংখ্যন আছে, দরিদ্র মানুষকে চাল ও গম দেয়ার পরিমাণ কমেনি।’

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top