চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে আটজন বিশিষ্ট ব্যক্তি ২০২৫ সালের স্বাধীনতা পুরস্কার পাচ্ছেন। যেখানে আছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক জগৎখ্যাত বিজ্ঞানী ড. জামাল নজরুল ইসলাম।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। শিগগিরই স্বাধীনতা পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের তালিকার প্রজ্ঞাপন জারি করবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।
সূত্রে জানা গেছে, মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিবাহিনীর সর্বাধিনায়ক এম এ জি ওসমানী (মরণোত্তর), কবি আল মাহমুদ (মরণোত্তর), ভাস্কর নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), বিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), পপসম্রাট আজম খান (মরণোত্তর), লেখক গবেষক ও রাজনীতিক বদরুদ্দীন উমর, ব্র্যাকের প্রতিষ্ঠাতা ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর) এবং ছাত্রলীগ কর্মীদের নির্যাতনে নিহত বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে এবার স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে। যেখানে বদরুদ্দীন উমর ছাড়া বাকি সবাই প্রয়াত। অর্থাৎ, তাদেরকে মরণোত্তর স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হচ্ছে।
স্বাধীনতা পুরস্কার দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতিবছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে।
স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, আঠারো ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম সোনার পদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেওয়া হয়। গত বছর (২০২৪) ১০ জনকে স্বাধীনতা পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল।
গত ২ মার্চ স্বাধীনতা পুরস্কার দিতে জাতীয় পুরস্কার সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা হয়। সভা শেষে কমিটির সভাপতি ও পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ বলেন, ‘এবার আমরা একুশে পদক যেভাবে দিয়েছি, আমরা একবারই সম্ভবত এ পুরস্কারগুলো দিতে পারবো। কিন্তু দেখেই যেন মনে হয় এ পুরস্কারগুলো অনন্যধর্মী, অন্য বছর এ ধরনের পুরস্কার দেওয়া হয় না। পরেও দেওয়া হবে কি না আমি জানি না।’
কমিটির সদস্য ও আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছিলেন, ‘এ পুরস্কারের (স্বাধীনতা পুরস্কার) মহিমা উপলব্ধি করে দল ও গোষ্ঠীগত চিন্তার ঊর্ধ্বে থেকে স্যারের (ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ) নেতৃত্বে আমরা এমন সব নাম সুপারিশ করেছি, আপনারা একুশে পদক দেখে খুশি হয়েছিলেন এ পুরস্কার দেখে আরও খুশি হবেন। মনে হবে পুরস্কার দিতে পেরে আমরা নিজেরা ধন্য হচ্ছি।’
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ