ভুয়া ভ্রমণবিলে সাড়ে ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ, পূর্ব রেলে দুদকের হানা

নিজস্ব প্রতিবেদক : কোন প্রকার বিল ভাউচার ছাড়াই প্রায় সাড়ে দশ লাখ টাকার ভ্রমণ বিল তুলে নেওয়ার অভিযোগে বাংলাদেশ রেলওয়ের পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযান চালায় দুদক।

রবিবার (২মার্চ) দুপুরে দুদক জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর একটি এনফোর্সমেন্ট টিম এ অভিযান পরিচালনা করে।

এ সময় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দপ্তর এবং বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাই শেষে বেশকিছু নথিপত্র জব্দ করা হয়।

জানা যায়, রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পরিবহন অধিদপ্তরের অডিটে কোন প্রকার বিল-ভাউচার ছাড়াই প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকার ভ্রমণ ব্যয় তুলে নেওয়ার প্রমাণ মিলে রেলের বাণিজ্যিক বিভাগের কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। ২০২৪ সালের ১ ডিসেম্বর এমন অসঙ্গতি ধরা পড়ে পরিবহন অডিট অধিদপ্তরের এএন্ডএও ও উপদলনেতা আনোয়ার হোসেনের অডিটে। এ ব্যাপারে তিনি একটি অডিট আপত্তিও জানান। আর এরই প্রেক্ষিতে অভিযান চালায় দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিম।

আনোয়ার হোসেনের করা অডিট আপত্তি থেকে জানা যায়, বাংলাদেশ রেলওয়ের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা, পাহাড়তলী, চট্টগ্রাম দপ্তরের ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভ্রমণ বিল ব্যয় করা হলেও এ সংক্রান্ত ভাউচার না পাওয়ায় সরকারের ১০ লাখ ৫৬ হাজার ৮৬৮ টাকার ক্ষতি হয়েছে।

নিরীক্ষাকালে পর্যালোচনায় দেখা যায়, রেলওয়ের বাণিজ্যিক বিভাগের বেশ কিছু কর্মকর্তারা বিভিন্ন সময়ে প্রায় সাড়ে ১০ লাখ টাকা উত্তোলন করেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এ সংক্রান্ত কোন রেকর্ড সংরক্ষণ করা হয়নি, এমনকি সংশ্লিষ্ট দপ্তরের বিল পাসিং রেজিস্ট্রারেও বিলের কোন এন্ট্রি বা তথ্য পাওয়া যায়নি।

অভিযানের ব্যাপারে দুদকের উপ সহকারী পরিচালক এস এ এম বিপ্লব চাটগাঁ নিউজকে বলেন, বিল ভাউচার ছাড়া সাড়ে দশ লাখ টাকার ভ্রমণ বিল তুলে নেওয়া সংক্রান্ত অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা এ অভিযান চালাই। এ সময় আমরা রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তর, অর্থ উপদেষ্টা ও প্রধান হিসাব অধিকর্তার দপ্তর এবং বিভাগীয় সংস্থাপন কর্মকর্তার দপ্তরে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট নথিপত্র যাচাই-বাছাই ও আংশিক নথিপত্র সংগ্রহ করি। এছাড়াও আরও কিছু নথিপত্র বাকি আছে যা দ্রুত সময়ের মধ্যে দুদক অফিসে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট সকল রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশন বরাবর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবে।

তবে এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা তৌষিয়া আহমেদ বলেন, ভ্রমণ বিলের সাড়ে ১০ লাখ টাকার অডিট আপত্তির অনুসন্ধানে দুদক টিম এসেছিল এবং তারা প্রয়োজনীয় রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করেছে। তদন্ত প্রতিবেদনের পর বাকিটা জানা যাবে।

তিনি বলেন, ভ্রমন বিলের রেকর্ডপত্র প্রথমে খুঁজে পাওয়া না গেলেও এখন প্রায় সব রেকর্ড পাওয়া গেছে। আরো কিছু বাকি থাকলে সেটিও পাওয়া যাবে।

চাটগাঁ নিউজ/এইচএস/এসএ

Scroll to Top