আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইন্দোনেশিয়ায় দুই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হয়েছে। রক্ষণশীল আচেহ প্রদেশের একটি আদালত আজ সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সমকামিতার অভিযোগে তাদের দোষী সাব্যস্ত করে এ সাজা দেন।
বিশ্বের সর্বাধিক মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির অন্য কোনো অঞ্চলে সমকামী যৌন সম্পর্ক অবৈধ না হলেও আচেহ প্রদেশে এটি অবৈধ। কারণ সেখানে শরিয়া আইন প্রয়োগ করা হয়।
গত নভেম্বরে স্থানীয়রা আচেহর রাজধানী বান্দা আচেহর একটি ভাড়া করা কক্ষে অভিযান চালায় এবং স্থানীয় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে একসঙ্গে পাওয়া যায়। পরে যৌন সম্পর্কের অভিযোগে তাদের শরিয়া পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বান্দা আচেহ জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর আলফিয়ান জানান, ‘বান্দা আচেহ শরিয়া আদালতের বিচারকদের একটি প্যানেল সেই যুগলের জন্য শাস্তি ঘোষণা করেছেন, যারা লিওয়াত (সমকামী যৌন সম্পর্ক) করেছেন।
এআইকে (প্রথম অভিযুক্ত) ৮৫ বার ও ডিএকে (দ্বিতীয় অভিযুক্ত) ৮০ বার বেত্রাঘাতের সাজা দেওয়া হয়েছে।’
আলফিয়ান জানান, প্রথম অভিযুক্তকে তুলনামূলক কঠোর সাজা দেওয়া হয়েছে। কারণ তিনিই কক্ষটি ভাড়া করেছিলেন এবং ‘কার্যক্রম শুরু করেছিলেন’। বেত্রাঘাতের এই শাস্তি পবিত্র রমজান মাস শুরুর আগেও কার্যকর হতে পারে, আবার পরেও দেওয়া হতে পারে।
আচেহ প্রদেশে জুয়া খেলা, মদ্যপান, ব্যভিচারসহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য প্রকাশ্যে বেত্রাঘাত একটি সাধারণ শাস্তি। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলো প্রকাশ্যে বেত্রাঘাতকে নিষ্ঠুর শাস্তি হিসেবে সমালোচনা করলেও আচেহর জনগণের মধ্যে এর জন্য দৃঢ় সমর্থন রয়েছে। ২০০১ সালে কেন্দ্রীয় সরকার একটি দীর্ঘমেয়াদি বিচ্ছিন্নতাবাদী বিদ্রোহ দমনের চেষ্টা হিসেবে আচেহকে বিশেষ স্বায়ত্তশাসন দেওয়ার পর অঞ্চলটি ধর্মীয় আইন প্রয়োগ শুরু করে।
২০২১ সালে এক যুগলকে সমকামী যৌন সম্পর্কের অভিযোগে বেত্রাঘাতের শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। এ ছাড়া চলতি বছরের জানুয়ারিতে আচেহতে অনলাইনে জুয়া খেলার অভিযোগে চারজনকে বেত্রাঘাত করা হয়, যা এই বছরের প্রথম প্রকাশ্য বেত্রাঘাতের ঘটনা।
সূত্র : এএফপি
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ