উখিয়া প্রতিনিধি: অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পাহাড় কাটা বন্ধ না করে উচ্ছেদ অভিযানের নামে ঘরবাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন উখিয়া উপজেলার জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালীর বাসিন্দারা। এছাড়া স্থানীয় বিট কর্মকর্তাকে প্রত্যাহারের ৪৮ ঘণ্টা সময়ও বেধে দেন তারা।
মঙ্গলবার উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগের যৌথ অভিযানে জালিয়াপালং ইউনিয়নের মনখালী এলাকায় ৮টি বসতঘর উচ্ছেদ করার প্রতিবাদে আজ বুধবার (২২ জানুয়ারি) সকালে অনুষ্ঠিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
যেখানে বক্তারা অভিযোগের সুরে বলেন, মনখালী এলাকায় শত বছর ধরে বসবাস করে আসছি আমরা। এখানে আমাদের রয়েছে সুপারি বাগান কলাবাগানসহ নানা ধরনের গাছ-গাছালি। বনবিভাগ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে এগুলো ধ্বংস করে দিয়েছে। আমরা এর প্রতিকার চাই।
ব্যারিস্টার সাফফাত ফারদিন রামিম চৌধুরী বলেন, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যদি মনখালী বিট কর্মকর্তা শিমুল দত্ত ও হোয়াইকং রেঞ্জ কর্মকর্তা মিনার চৌধুরীকে অপসারণ করা না হয় তাহলে রেঞ্জ অফিস ও কক্সবাজার দক্ষিণ বনবিভাগের অফিস ঘেরাও করা হবে।
কর্মসূচিতে আরো উপস্থিত ছিলেন- জহুর আহমদ চৌধুরী, সেলিম সিরাজী, রফিকুল হুদা, আরফাত চৌধুরী, সাঈদ উদ্দিন রুবেল, আনোয়ার সিকদার, আব্দুল মাবুদ, হাফেজ আবদুল করিম, আবদুল মাবৃদ, মোহাম্মদ আলম, হাফেজ আবদুল করিম, আবদুল মাবৃদ, মোহাম্মদ আলম প্রমুখ।
বিষয়টি নিয়ে হোয়াইক্যং রেঞ্জ কর্মকর্তা মিনার চৌধুরী বলেন, এটি সরকারি বনবিভাগের জায়গা। উপজেলা প্রশাসন ও বনবিভাগ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে এসব উচ্ছেদ করা হয়েছে।
উখিয়া সহকারী কমিশনার (ভূমি) যারীন তাসনিম তাসিন জানান, সরকারি বনভূমি দখল করে স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। এছাড়া উখিয়া উপজেলা প্রশাসন নিয়মিত বালু ও পাহাড়খেকোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে আসছে। আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
চাটগাঁ নিউজ/ইব্রাহিম/জেএইচ