চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : মা-বাবার কবর জেয়ারত করতে এসে রাউজানে মোহাম্মদ মুছা নামের এক ব্যক্তিকে দুর্বৃত্তরা পিটিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছেন নিহতের পরিবার। তবে পুলিশের দাবি মুসল্লি ও চিকিৎসকের সাথে কথা বলে তারা জেনেছেন স্ট্রোক করে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।
শুক্রবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) জুমা’র নামাজের পর রাউজান পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের হাজীপাড়া মসজিদের কাছে এ ঘটনা ঘটে।
মুছার ভাই মোহাম্মদ ইউছুপ অভিযোগ করেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে আমি রাউজান হাজীপাড়া জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষ করে পাশে থাকা বাবার কবর জেয়ারত শেষ করি। হঠাৎ দুই যুবক এসে আমার ভাইকে ডেকে মসজিদের পাশে শৌচাগারের (টয়লেট) সামনে নিয়ে নির্মমভাবে মারধর শুরু করে। এ সময় মারধরে যোগ দেয় আরো কয়েকজন। তাদের নির্যাতনে আমার ভাই মাটিতে লুটে পড়ে। পরে গুরুতর অবস্থায় মুছাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’
নিহতের স্ত্রী ফেরদৌস আক্তার বলেছেন, আমার স্বামী ওমান প্রবাসী। গত ২০ জানুয়ারি ওমান থেকে দেশে ফিরে আমার বাবার বাড়ি হাটহাজারীতে ছিলেন। তিনি রাউজান বাবার কবর জেয়ারত গিয়ে দুর্বৃত্তদের পিটুনিতে মারা গেলেন। আমি এই হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই। নিহত মুছা স্থানীয় হাজী পাড়ার কবির আহমদের পুত্র। তাদের ঘরে সানি ও তানভির নামে দুই সন্তান রয়েছে।
ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদ হোসেন বলেন, মুসল্লিদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি মসজিদ থেকে বের হয়ে পড়ে গিয়েছিল, পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎসকদের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছি ওই ব্যক্তি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
ওসি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য তার মরদেহ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এ ব্যাপারে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ থাকলে সেটি তদন্ত করে দেখা হবে।
চাটগাঁ নিউজ/এসএ