রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধিঃ রাঙ্গুনিয়ায় মো. কাঞ্চন মিয়া নামে এক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতাকে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে।
রবিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) দুপুর দুইটার দিকে আলম শাহ পাড়া নূরে মদিনা কমিউনিটি সেন্টারের সামনে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর ভুক্তভোগী মো. কাঞ্চন মিয়া বাদী হয়ে ৬ জনকে বিবাদী করে রাঙ্গুনিয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযুক্তরা হলেন লালানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুর রহিম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম, দক্ষিণ রাজানগর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাফায়েত সাকিব, উত্তর রাঙ্গুনিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ সভাপতি অমিত বড়ুয়া, ছাত্রলীগ কর্মী মো. সাইমন ও মো. সাগর। অন্যদিকে মো. কাঞ্চন মিয়া লালানগর ইউনিয়ন সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি ও সাবেক ইউপি সদস্য। তিনি পেশায় একজন কাঠ ও লাকড়ি ব্যবসায়ী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঘটনার আগের দিন ১নং বিবাদী আবদুর রহিম তার গাছের লাকড়ি বিক্রি করবে বলে কাঞ্চন মিয়াকে তার বাগানে নিয়ে যায়। পরে তিনি জানতে পারেন বাগানটি তার না, ওসমান মিয়া নামের অন্য একজনের এবং তিনি চলে আসেন। পরদিন বিবাদীরা সবাই কাঞ্চন মিয়াকে গুরুত্বপূর্ণ কথা আছে বলে ডেকে নিয়ে আসে। আসার পর বিবাদীরা লোহার রড, ইট, গাছের ঢালা, বাঁশের লাটি দিয়ে অবরুদ্ধ করে। এক পর্যায়ে আবদুর রহিম’র নির্দেশে তৌহিদ ও সাফায়াত সাকিব কাঞ্চনকে রড ও ইট দিয়ে আঘাত করে। মাঠিতে পড়ে যাওয়ার পর তারা সবাই সংঘবদ্ধভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করতে থাকে। এসময় কাঞ্চন মিয়ার জ্যাকেটের পকেটে থাকা ২লাখ ৫৩ হাজার টাকা তারা নিয়ে যায়।
এই ব্যাপারে জানতে চাইলে অভিযুক্তরা দাবী করেন, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা কাঞ্চন প্রথম একজনের কলার ধরে মারধর করে। তাই তাকে বাঁচাতে গিয়ে তার সাথে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে।
তবে তাদের এই বক্তব্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বানোয়াট দাবী করে তাকে পরিকল্পীতভাবে ডেকে নিয়ে এই মারধরের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবী করেন ভুক্তভোগী কাঞ্চন মিয়া।
এ বিষয়ে রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাকিল জানান, অভিযোগের বিষয়টি খতিয়ে দেখে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন