আনোয়ার হোসেন ফরিদ: চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে নাজুক অবস্থায় চলছে সেখানকার শিক্ষাব্যবস্থা। দীর্ঘ ৬ বছর ধরে উপজেলাটিতে শূন্য পড়ে রয়েছে শিক্ষা অফিসারের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদটি।
জানা গেছে, ২০১৯ সালের পর থেকে দীর্ঘ ৬ বছরেও পূরণ হয়নি গুরুত্বপূর্ণ এই প্রশাসনিক পদ। যার ফলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থা ভয়াবহভাবে ভেঙে পড়েছে। এ পদে কেউ নিযুক্ত না থাকায় উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা ব্যবস্থায় নেমে এসেছে চরম অবনতি, এমনটি জানিয়েছেন সেখানকার স্থানীয়রা।
ফটিকছড়ির সচেতন মহলের অভিযোগ— স্থানীয় বিদ্যালয়গুলোর অব্যবস্থাপনা, তদারকির অভাব ও প্রশাসনিক দুর্বলতার কারণে দিন দিন শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমতির দিকে। তাইতো শিক্ষার মান নিয়ে এলাকাবাসীর মধ্যে তৈরি হয়েছে উদ্বেগ, বাড়ছে ক্ষোভ।
তারা জানায়, চট্টগ্রামের সর্ববৃহৎ উপজেলাটিতে বর্তমানে ২২৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। অথচ দীর্ঘ ৬ বছর ধরে গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক দায়িত্বটি কেউ স্থায়ীভাবে পালন করছেন না। সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের মাধ্যমে কোনোভাবে অফিস চালালেও এতে কাঙিক্ষত ফল আসছে না।
এদিকে নিয়মিত তদারকি না থাকায় বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও পাঠদান কার্যক্রমে শৃঙ্খলার অভাব দেখা যাচ্ছে। এতে করে শিশুদের শিক্ষা গ্রহণের আগ্রহও হ্রাস পাচ্ছে বলে জানান স্থানীয় একাধিক শিক্ষক ও অভিভাবক।
তবে উপজেলার শিক্ষা সংশ্লিষ্টরা বলছেন— শুধু পদ পূরণ করলেই হবে না, একটি দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষার মান উন্নয়নে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম জেলা (প্রাথমিক) শিক্ষা অফিসার এস. এম আব্দুর রহমান বলেন, অফিসার নিয়োগ না থাকার কারণে বিষয়টি সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। আমরা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত আছি এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করছি খুব শিগগিরই সমস্যা সমাধান হবে।
উল্লেখ্য, ফটিকছড়ির মতো বৃহৎ একটি উপজেলায় বছরের পর বছর শিক্ষা অফিসার না থাকা শিক্ষার প্রতি সরকারি অবহেলারই একটি বড় প্রমাণ। দ্রুত এই সংকটের সমাধান না হলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলেও আশঙ্কা করছেন স্থানীয় নাগরিক সমাজ।
চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ