৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি— ১০ লাখ নিতে গিয়ে ধরা বৈছাআর এক নেতাসহ ৫ শিক্ষার্থী
স্ব স্ব দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার গুলশানে সাবেক এক সাংসদের বাসায় চাঁদাবাজি করতে গিয়ে পুলিশের হাতে আটক হয়েছেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতাসহ ৫ শিক্ষার্থী।

শনিবার (২৬ জুলাই) রাত আটটার দিকে তাদের গুলশান এলাকা থেকে আটক করা হয়।

জানা গেছে, আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় তারা চাঁদাবাজি করতে যান। যেখানে তাদের দাবিকৃত টাকা ছিল ৫০ লাখ। এর আগে ১০ লাখ টাকা নিলেও শনিবার গিয়েছেন বাকি ৪০ লাখ টাকা আদায় করতে।

এই পাঁচজন হলেন— বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আহবায়ক আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ, মো. সাকাদাউন সিয়াম, মো. সাদাফ, মো. ইব্রাহীম হোসেন মুন্না ও মো. আমিনুল।

গুলশান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, গত ১৭ জুলাই গুলশানে সাবেক সাংসদ শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন রিয়াদ, অপুসহ বেশ কয়েকজন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। সেদিন বাসায় ছিলেন শাম্মী আহমেদের স্বামী। তাকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন তারা। পরে শাম্মী আহমেদের স্বামী ১০ লাখ টাকা চাঁদাও দেন।

আজ (শনিবার) রাত আটটার দিকে চাঁদার বাকি টাকা আনতে যান তারা। পুলিশ আগে থেকে এই খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে তাদের আটক করে। বাকিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলে জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।

বহিষ্কার করে দায়মুক্ত ২ নবাগত সংগঠনের

এদিকে চাঁদাবাজির অভিযোগে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা ও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) দুই নেতাকে নিজ নিজ সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে দুই সংগঠন পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে।

শনিবার (২৬ জুলাই) দিবাগত রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দপ্তর সম্পাদক শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়— সাংগঠনিক নীতিমালা ও শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ঢাকা মহানগর শাখার আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম ও সাদাবকে সংগঠনের সব ধরনের সাংগঠনিক পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।

এতে আরও উল্লেখ করা হয়, সংগঠনের সভাপতি রিফাত রশিদ ও সাধারণ সম্পাদক হাসান ইনাম এ সিদ্ধান্ত অনুমোদন করেছেন। সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীদের বহিষ্কৃতদের সঙ্গে কোনো প্রকার সাংগঠনিক সম্পর্ক না রাখার নির্দেশ দেওয়া হলো।

অন্যদিকে, বাগছাস দপ্তর সম্পাদক মাহফুজুর রহমান প্রেরিত বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সমন্বয়ক পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক জানে আলম অপু ও আব্দুর রাজ্জাক বিন সুলাইমানের (রিয়াদ) সরাসরি সম্পৃক্ততার সুনির্দিষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেছে। গঠনতন্ত্রের ধারা ৩.১ অনুযায়ী সংগঠনের ভাবমূর্তি ও শৃঙ্খলার পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার দায়ে কেন্দ্রীয় সংসদের আহ্বায়ক আবু বাকের মজুমদার ও সদস্য সচিব জাহিদ আহসানের নির্দেশনায় তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হলো।

চাটগাঁ নিউজ/জেএইচ

Scroll to Top