৪০ টাকার জুস ১২০ টাকা, ভোক্তা অধিকারে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক: ফয়’স লেক এলাকার গোল্ড হিল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট নামের দোকানে ৪০ টাকা মূল্যের প্রাণ ব্র্যান্ডের একটি অরেঞ্জ (ক্যান) জুস বিক্রি করা হচ্ছে ১২০ টাকায়! এমন গলাকাটা কারবারের প্রতিবাদ করায় ক্রেতার সাথে উল্টো অশোভন আচরণ শুরু করেন ওই দোকানদার। এ নিয়ে ভুক্তভোগী জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কাছে অভিযোগ করেছেন।

ভুক্তভোগী ক্রেতা মো. বাবু হাসানের অভিযোগ, গত শুক্রবার ১৬ মে চট্টগ্রাম নগরীর ফয়’স লেক এলাকায় “গোল্ড হিল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট” প্রতিষ্ঠানটিতে আামি খাবার খেতে ঢুকি। আমি ওয়েটারকে একটি পানীয় অর্ডার করি। তবে ওয়েটারের দেয়া পানীয়টি আমার ভাল না লাগায় পরবর্তীতে আমি নিজে তাদের ফ্রিজ থেকে প্রাণ ব্র্যান্ডের (২৫০ মিলি প্রাণ ম্যাংগো ক্যান) একটি পানীয় নিই।

তিনি আর জানান, খাওয়ার পর বিল পরিশোধ করতে গেলে তারা আমার কাছ থেকে জুসটির মূল্য বাবদ ১২০ টাকা দাবি করে। অথচ একই জুস বাজারের বিভিন্ন দোকানে ৪০ টাকা মূল্যে বিক্রি হয়। এ অবস্থায় আমি তাদের দোকান থেকে খাওয়া জুসটির মোড়কে মূল্য যাচাই করি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য আমার ক্রয়কৃত ক্যানের গায়ে কোন মূল্য উল্লেখ নেই। ক্যান থেকে কোম্পানি নির্ধারিত মূল্য ঘষামাজা করে উঠিয়ে ফেলা হয়েছে।

৪০ টাকার জুস ১২০ টাকা কেন? এমন প্রশ্ন করায় তারা আমার সাথে অসদাচরণ করে। এক পর্যায়ে বিল চাইতে গেলে দোকানদার আমাকে একটি সাধারণ সাদা কাগজে লিখে একটি অপ্রাতিষ্ঠানিক রসিদ ধরিয়ে দে। আমি তাদের কাছ থেকে মোবাইল নাম্বারটি চাইলে তারা তা দিতেও অস্বীকৃতি জানান।

তিনি বলেন, ওই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে যথাযথ তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানিয়ে আমি জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তরে অভিযোগ করেছি। এ ধরণের অসাধু ব্যবসায়ীরা ভোক্তাদেরকে জিম্মি করে অতিরিক্ত মূল্য হাতিয়ে নিচ্ছে এমনটা শুধু নয়, তারা পণ্যের কোম্পানি নির্ধারিত মূল্য মান গোপন করে অপরাধ করছেন। এদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রত্যাশা করছি।

এ বিষয়ে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রাম জেলা’র সহকারী পরিচালক মো. আনিছুর রহমান বলেন, অতিরিক্ত মূল্য আদায় ও মূল্য তালিকা গোপন করে ব্যবসা পরিচালনা করার ব্যাপারে আমরা অভিযোগটি পেয়েছি। এ ধরণের প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।

এ ব্যাপারে চাটগাঁ নিউজ প্রতিবেদক অভিযুক্ত গোল্ড হিল হোটেল এন্ড রেস্টুরেন্ট কর্তৃপক্ষের সাথে তাদের সাইনবোর্ডে উল্লেখিত নম্বরে যোগাযোগের চেষ্টা করে। তবে নম্বরটি নিস্ক্রিয় পাওয়া যায়। পরে লক্ষ্য করা গেল, রেস্টুরেন্টের মোবাইল নম্বরটি ১২ ডিজিটের।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি/এসএ

Scroll to Top