চাটগাঁ নিউজ ডেস্কঃ বিদায়ী বছর (২০২৩) এ শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বিভাগেই ১২৩৩ টি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২০৫ জন নিহত ও ২২৯৪ জন আহত হয়েছে। সারাদেশে সড়ক দুর্ঘটনায় ৭৯০২ জন নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি। তাছাড়া সমান তালে বেড়েছে রেল ও নৌপথের দুর্ঘটনাও।
যাত্রী কল্যাণ সমিতি’র প্রতিবেদনে বলা হয়, বিগত বছরে দেশের সড়ক, রেল ও নৌপথে দুর্ঘটনায় সর্বমোট ৮ হাজার ৫০৫ জন মারা গেছেন। যার মধ্যে সড়ক পথে ৬২৬১ টি দুর্ঘটনায় ৭৯০২ জন নিহত, ১০৩৭২ জন আহত; রেল পথে ৫২০ টি দুর্ঘটনায় ৫১২ জন নিহত, ৪৭৫ জন আহত; নৌ-পথে ১৪৮ টি দুর্ঘটনায় ৯১ জন নিহত, ১৫২ জন আহত এবং ১০৯ জন নিখোঁজ রয়েছে।
রবিবার (১৪ জানুয়ারী) সকালে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় অবস্থিত ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিট সাগর-রুনি মিলনায়তনে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে এই প্রতিবেদন তুলে ধরেন।
যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ২০২২ সালের চেয়ে বিদায়ী ২০২৩ সালে ছোট যানবাহনের সংখ্যা হঠাৎ কয়েক গুণ বৃদ্ধি পাওয়া ও এসব যানবাহন অবাধে চলাচলের কারণে দুর্ঘটনা বেড়েছে। তাছাড়া বেপরোয়া গতি, বিপদজনক অভারটেকিং, ফিটনেসবিহীন যানবাহনের অবাধে চলাচল, চালকের অদক্ষতা, ত্রুটিপূর্ণ যানবাহন চালানোসহ ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারনে বেড়েছে দুর্ঘটনার মাত্রা।
তিনি আরো বলেন, মহাসড়কে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতারা পৃষ্ঠপোষকতায় বেড়েছে থ্রি হুইলার ও ইজিবাইকের দৌরাত্ম। ২০২৩ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৯৫০ জন চালক মারা যান। বর্তমান সরকার গত ১৫ বছরে সড়কে অবকাঠামো নির্মাণে যতটা সাফল্য দেখিয়েছে, ঠিক ততটা ব্যর্থ হয়েছে সড়কে নৈরাজ্য ঠেকাতে। তিনি আশা করেন, নতুন মেয়াদে সরকার দুর্ঘটনা কমাতে উদ্যোগী হবে।
এই সময় প্রেস ব্রিফিং এ সংগঠনটি থেকে আরো জানানো হয়, গত বছর দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন ঢাকা বিভাগে। ঐ বছর ১৭ জানুয়ারি সবচেয়ে বেশি ৩৫টি দুর্ঘটনা ঘটে এবং সবচেয়ে কম দুর্ঘটনা ঘটে ২৬ মার্চ। একই বছরে ৭ জুলাই দুর্ঘটনায় সবচেয়ে বেশি ৪১ জন মারা যান। একই বছরে ২০৩১ টি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ২১৫২ জন নিহত ও ১৩৩৯ জন আহত হয়েছে।
গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক, রেল ও নৌ-পথে দুর্ঘটনার সংবাদ মনিটরিং করে প্রতিবছর এই প্রতিবেদন তৈরি করে আসছে যাত্রী কল্যাণ সমিতি।
চাটগাঁ নিউজ/এসবিএন