২০০১ সালের পর দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি: চসিক মেয়র

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক : ২০০১ সালের পর বাংলাদেশে কোনো সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।

রোববার (১৪ ডিসেম্বর) নগরীর পাহাড়তলী বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

শহিদ বুদ্ধিজীবীদের শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে মেয়র বলেন, ‘১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর যাদের অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছিল, তারা ছিলেন দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক মেরুদণ্ড। শহিদুল্লাহ কায়সার কিংবা জহির রায়হান বা ডাক্তার আব্দুল আলিম কিংবা গোবিন্দচন্দ্র দেবসহ বুদ্ধিজীবীদের সেদিন হত্যা করা হয়েছিল জাতিকে মেধাশূন্য করতে। তাদের আত্মত্যাগে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়েছে। লাখো শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত বিজয় আমরা সেদিন পরিপূর্ণভাবে অর্জন করতে পারব যেদিন মানুষ তাদের মৌলিক ও গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাবে।’

তিনি বলেন, ‘চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে যেসব বধ্যভূমি এখনো অরক্ষিত অবস্থায় আছে, আমরা সেগুলো সুরক্ষিত করব। আমরা সামনের নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছি। কারণ রাষ্ট্রীয় কিছু বাজেট খুবই দরকার। আমি যখনই কোনো একটা ডিপিপি তৈরি করে মন্ত্রণালয় দিচ্ছি, সেটা কিন্তু হচ্ছে না, কারণ সেখানে বাজেট সংকট রয়েছে। গণতান্ত্রিক কোনো সরকার যদি না আসে কেউ বাইরে থেকে এসে ইনভেস্টও করছে না। ইতোমধ্যে আমি অনেক প্রকল্প হাতে নিয়েছি এই শহরকে সুন্দর করার জন্য।’

এবারের নির্বাচন দেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ উল্লেখ করে মেয়র বলেন, ‘আমি মনে করি, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন আমাদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ বাংলাদেশের ইতিহাসে ২০০১ সালের পর থেকে একটি সুষ্ঠু, সুন্দর, নিরপেক্ষ নির্বাচন এখনো পর্যন্ত মানুষ দেখেনি। ২০০৮ সালের নির্বাচনে কিন্তু একটা সূক্ষ্ম কারচুপি আমরা দেখেছি সীমানা নির্ধারণকে কেন্দ্র করে। আমরা যদি ২০১৪ সালের নির্বাচনের কথা বলি সেটা ছিল একটা ভোটারবিহীন নির্বাচন। ২০১৮ সালের নির্বাচন দিনের ভোট রাতে হয়েছে। ২৪ সালের নির্বাচন আমি-তুমি-ডামির একটা নির্বাচন হয়েছে। কাজেই বাংলাদেশের মানুষ তাকিয়ে আছে ২০২৬ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের দিকে। গত ১৬ থেকে ১৮ বছর নির্বাচনের নামে তামাশা দেখেছে জনগণ।’

এ সময় মেয়রের সঙ্গে চসিকের ভারপ্রাপ্ত প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও সচিব মো. আশরাফুল আমিনসহ বিভাগীয় ও শাখা প্রধানরা ছিলেন।

চাটগাঁ নিউজ/এসএ

Scroll to Top