সিপ্লাস ডেস্ক: আগামী ১ সেপ্টেম্বর ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যে সমাবেশ করতে যাচ্ছে ছাত্রলীগ, সেখানে সারাদেশ থেকে ৫ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে জড়ো করার ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। শনিবার (২৬ আগস্ট) বেলা ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) মধুর ক্যান্টিনে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
এরআগে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিলো ৩০ আগস্ট এ ছাত্র সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। পরে সেটি পিছিয়ে ১ সেপ্টেম্বর ঘোষণা করা হয়। এই সমাবেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিত থাকার কথা রয়েছে। এই ছাত্র সমাবেশের জন্য গত ১০ আগস্ট ছাত্রলীগ ‘প্রস্তুতি সভা’ সম্পন্ন করেছে। পরে গত ১৮ আগস্ট অনুষ্ঠিত হয় ‘বিশেষ বর্ধিত সভা’। ছাত্রলীগের ওই বর্ধিত সভায় সারাদেশ থেকে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অংশ নিয়েছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে বলা হয়, ছাত্র সমাবেশ সফল করতে এবং সারা দেশ থেকে শিক্ষার্থীদের ছাত্র সমাবেশে নিয়ে আসতে ছাত্রলীগ এরইমধ্যে কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে ১২৭টি সমন্বয় টিম গঠন করেছে। সেই সঙ্গে দেশের প্রতিটি জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও গ্রামে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা দিনরাত প্রচারণা চালাচ্ছে।
ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধু ও বঙ্গমাতার স্মরণে প্রতিবছর স্মরণসভার আয়োজন করে থাকি। সে লক্ষ্যে আমরা মাসের শেষ দিন ৩০ আগস্ট ছাত্র সমাবেশ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিলাম। কিন্তু এই দিন সরকারি ছুটি না থাকায় এইচএসসি পরীক্ষা ও ক্যাম্পাসে জনদুর্ভোগ তৈরির আশঙ্কা করে আমরা সেটা পিছিয়ে ১ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ছুটির দিনে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি আরও বলেন, এই সমাবেশে ছাত্রলীগ মুক্তিযুদ্ধের বিরোধী শক্তিকে রাজনীতির মাধ্যমে পরাজিত করতে চায়। এজন্য আমরা প্রস্তুতি সভা, বর্ধিত সভা করেছি; যেন সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থীদের এখানে সমবেত করা যায়। আগামী ১ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা নিজেদের উপস্থিতি জানান দিয়ে দেশ বিরোধী শক্তিকে বার্তা দিতে চায় যে, বাংলাদেশের মাটিতে তাদের জায়গা হবে না এবং তাদের সকল অপকর্ম রুখতে ছাত্রলীগের প্রতিটি নেতাকর্মী সজাগ রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।