১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গণমাধ্যম সংস্কারের সুপারিশ দেয়া হবে

চাটগাঁ নিউজ ডেস্ক: গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের প্রধান কামাল আহমেদ বলেছেন, ১৫ ফেব্রুয়ারির মধ্যে আমাদের সুপারিশমালা সরকারের কাছে উত্থাপন করা হবে। সব সময় সরকারকে প্রশ্ন করা উচিত গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন যে সুপারিশমালা দিচ্ছে তা কবে বাস্তবায়ন হবে? এই প্রশ্ন সুপারিশমালা বাস্তবায়নে এগিয়ে নেবে। আমাদের কমিশন গঠন হয়েছিল ১৮ নভেম্বর। ৯০ দিন মেয়াদি এই কমিশনের ১৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। গণমাধ্যম কমিশনের এই মতবিনিময় কার্যক্রম বিভিন্ন স্তরে আমরা ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত চালু রাখব। এরপরে আমাদের পূর্ণাঙ্গ কমিশন যৌথভাবে বসে প্রতি অঞ্চলের সাংবাদিকদের দেওয়া মতামত, পর্যালোচনা ও আমাদের মতামতের ভিত্তিতে সুপারিশমালা প্রস্তুত করে উত্থাপন করবো।

রোববার (১৩ জানুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, আমরা জাতীয় পর্যায়ে গণমাধ্যম সর্ম্পকে জনমত সমীক্ষা করেছি। ১ জানুয়ারি থেকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত বাড়ি বাড়ি গিয়ে দৈবচয়ন ভিত্তিতে ৪৬ হাজার মানুষের মতামত নিয়ে সমীক্ষা করা হয়েছে। জরিপে সর্বসাধারণের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে তারা গণমাধ্যমকে কীভাবে দেখতে চায়? গণমাধ্যমের ওপর মানুষের আস্থা আছে কিনা? মানুষ টেলিভিশন দেখে কিনা, পত্রিকা পড়ে কিনা, রেডিও শোনে কিনা। যদি মানুষ গণমাধ্যম পরিত্যাগ করে কেন তারা গণমাধ্যম ত্যাগ করেছে সেটাও জানতে চাওয়া হয়েছে। সমীক্ষায় উঠে আসা তথ্য পর্যালোচনা করে সুপারিশমালায় অন্তর্ভুক্ত করা হবে। মনে রাখতে হবে গণমাধ্যমের আমরা স্টেকহোল্ডার। কিন্তু দেশের মানুষ গণমাধ্যমের সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। তাদের মতামত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তারা পত্রিকা না পড়লে, টিভি না দেখলে, রেডিও না শুনলে তা চলবে না।

কামাল আহমেদ বলেন, শুধু মতবিনিময়েই নয়, এর বাইরেও পরামর্শ থাকলে আমাদের ওয়েবসাইটে পাঠাতে পারেন।

মতবিনিময় সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম সংস্কার কমিশনের সদস্য টিটু দত্ত গুপ্ত, আখতার হোসেন খান, জিমি আমির, আব্দুল্লাহ আল মামুন ও বেগম কামরুন্নেসা হাসান। মতবিনিময়ে বরিশাল,পটুয়াখালী,ভোলা,বরগুনা,পিরোজপুর ও ঝালকাঠির প্রায় শতাধিক সাংবাদিক স্ব স্ব মতামত উপস্থাপন করেন।

চাটগাঁ নিউজ/ইউডি  

Scroll to Top